মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ১৩ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টা, গ্রেপ্তার ৩
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের জেলা শাখা থেকে এজেন্ট শাখায় কয়েকলাখ টাকা নেওয়া হবে। এমন তথ্য জানতেন ওই ব্যাংকের এজেন্টের গাড়িচালক সুমন। তিনি সেই টাকা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা আঁটেন। কিন্তু টাকা ছিনতাই করতে গিয়ে ভেস্তে যায় সে পরিকল্পনা। গ্রেপ্তার করা হয় তিন ছিনতাইকারীকে।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার চান্দা এলাকায় রোববার (২২ মে) সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার (২৩ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আলমগীর জাহান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন শহরের আমতলী এলাকার মৃত মজিবর রহমানের ছেলে জামিউল ইসলাম ওরফে মিন্টু (৪০), ধানমন্ডি এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে শামসুজ্জোহা (৩১) ও হাজী মাদরাসা রোড এলাকার মৃত আফজাল হোসেনের ছেলে ফারহান ওরফে সুমন (৩৪)।
প্রত্যেক্ষদর্শী ও প্রেস ব্রিফিং সূত্রে জানা যায়, ইসলামী ব্যাংকের জেলা শাখা থেকে কয়েকলাখ টাকা উত্তোলন করে জামালগঞ্জের মাহা ট্রেডিং করপোরেশনের এজেন্ট ব্যাংকে নেওয়া হবে এ কথা ওই এজেন্টের গাড়িচালক সুমন জানতেন। তিনি টাকা ছিনতাই করার জন্য সে ছিনতাইকারী গ্রুপের সাথে পরিকল্পনা করেন। এজেন্ট শাখার ম্যানেজার আবুল হোসেন তার সহকারীকে নিয়ে সকালে ব্যাংক থেকে ১৩ লাখ টাকা উত্তোলন করে মোটরসাইকেল যোগে যাচ্ছিলেন। তারা চান্দা ব্রিজ এলাকায় পৌঁছলে পেছন থেকে দুই মোটরসাইকেলে আসা ছয়জন ধারাল ছুরি দেখিয়ে তাদের পথরোধ করেন।
পরে চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। সেসময় তার চিৎকারে রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী লোকজন দৌড়ে এসে দুজনকে আটক করে গণধোলাই দেয় এবং পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ওই দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর আরও একজনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
ইসলামী ব্যাংক জামালগঞ্জ শাখার এজেন্ট মাহা ট্রেডিং করপোরেশনের ইনচার্জ কাবিরুল বলেন, ১৩ লাখ টাকা এজেন্ট ব্যাংকে নেওয়া হচ্ছিল। এ সময় ছিনতাইকারীরা ম্যানেজারের পথ রোধ করে চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। এ সময় তার চিৎকারে পথচারীরা এগিয়ে এলে তারা টাকা ছিনতাই করতে পারেনি। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে টাকা নেওয়া হবে।
ওসি আলমগীর জাহান বলেন, গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আর ছিনতাইয়ের চেষ্টায় উদ্ধার ১৩ লাখ টাকা এজেন্ট ব্যাংকের লোকজন আদালতের মাধ্যমে নিতে পারবেন।
চম্পক কুমার/আরআই