কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
সাভারের আশুলিয়ায় বকেয়া বেতন পরিশোধ ও বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে একটি শাখা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন একটি পোশাক কারখানার বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) দুপুরে আশুলিয়া ইউনিয়নের আউকপাড়া এলাকার বাংলার ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা আনোয়ার জং নামে একটি শাখা সড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ করেন।
শ্রমিকরা জানান, কারখানাটিতে তারা প্রায় ১৭০ জন শ্রমিক কাজ করতেন। ঈদের আগে গত ২৯ এপ্রিল কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এর আগে শ্রমিকদের সামান্য করে বেতন পরিশোধ করে। ঈদের পরে কারখানা খুলে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন প্রদানের কথা ছিল। এখানকার শ্রমিকরা কেউ ১ মাসের, কেউ দুই মাসের, কেউ তিন মাসেরও বেতন পাবেন। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন প্রদানের ভয়ে ঈদের পর আর কারখানা খোলেননি। শ্রমিকরা হতাশায় দিন যাপন করছেন।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিক সেলিনা আক্তার বলেন, ওই পোশাক কারখানায় কাজ করে প্রায় ১৭০ জন শ্রমিক। কারখানা কর্তৃপক্ষ নানা অজুহাতে কারখানা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু আমরা খবর পাই গতকাল রাতে কারখানা কর্তৃপক্ষ কারখানার মালামাল বের করে নিয়ে যাচ্ছে। খবর পেয়ে শ্রমিকরা কারখানার সামনে অবস্থান নেয়। এর পরও কোনো সমাধান না হওয়ায় আমরা সড়কে অবস্থান নিয়েছি।
এ ব্যাপারে কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহরাব বলেন, এ ব্যাপারে শ্রমিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে বিকেল ৪টায় বসার কথা রয়েছে। সেখানে বিষয়টি সমাধান হবে বলে মনি করি। আশা করি শ্রমিকরা কারখানার দুরাবস্থার কথা বিবেচনা করবেন।
এ বিষয়ে টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সাভার আশুলিয়া ধামরাই আঞ্চলিক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রতন হোসেন মোতালেব বলেন, শ্রমিকের বকেয়া বেতন ও ন্যায্য পাওনা পরিশোধ না করে মালিক কর্তৃপক্ষ কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে অমানবিক আচরণ করেছেন। অবিলম্বে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের দাবি জানান তিনি।
কর্মসূচিতে অংশ নেন টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের আশুলিয়া থানা কমিটির সভাপতি মো. ইউসুফ শেখ, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাভার ইউনিট কমিটির সভাপতি এমদাদুল হক এমদাদ, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সাভার থানা কমিটির সভাপতি কবির খান মনির, বাংলাদেশ বস্ত্র ও পোশাক শিল্প শ্রমিক লীগের সাভার হেমায়েতপুর আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম সবুজ, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের নেতা আনিসুর রহমান আনিসসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
মাহিদুল মাহিদ/আরআই