বাণিজ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চান বাম গণতান্ত্রিক জোট
নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধির দায় স্বীকার করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিকে মন্ত্রীপরিষদ থেকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। রাজনৈতিক এ জোটের অভিযোগ, দেশে পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও সিন্ডিকেটের কারসাজিতে সব পণ্যের অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা এখন যেসব অভিযান পরিচালনা করছে, বাজারে তার কোনো প্রভাব পড়ছে না।
মঙ্গলবার (১৭ মে) দুপুরে রংপুর প্রেস ক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে বাণিজ্যমন্ত্রীর ব্যর্থতা তুলে ধরে তাকে পদত্যাগের আহ্বান জানান বাম গণতান্ত্রিক জোট নেতৃবৃন্দ।
বিজ্ঞাপন
এর আগে সয়াবিন তেল, চাল, ডাল, আটা, চিনি, সাবানসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।
জোটের নেতারা বলেন, সরকার এক ভাগ ধনীর স্বার্থে দেশের ৯৯ ভাগ সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলেছেন। এখন সিন্ডিকেট বাণিজ্য ও দুর্নীতির মাধ্যমে লুটপাট চলছে। আর এসব করার সুযোগ সরকারের দায়িত্বে থাকা এমপি-মন্ত্রীরাই করে দিয়েছেন। পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও সিন্ডিকেটের কারসাজিতে সব পণ্যের অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে।
এখন সরকার লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করছে। বাজারে এসব অভিযানের কোনো প্রভাব পড়ছে না। বাণিজ্যমন্ত্রী ব্যবসায়ী হিসেবে সফল, কিন্তু মন্ত্রী হিসেবে ব্যর্থ। বাণিজ্যমন্ত্রীর উচিত ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করা। আমরা তার পদত্যাগ দাবি করছি।
নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, এক দিকে মূল্যবৃদ্ধিতে সঙ্কটাপন্ন অবস্থা বিরাজ করছে, অন্যদিকে রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুনর্বাসন ছাড়াই ভূমিহীনদেরকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। যেসব ভূমিহীনরা সরকারি খাসজমি, রেল ও রাস্তার ধারে কোনোরকম মাথা গোঁজার ঠাঁই করেছে, এখন তারা ক্ষতিগ্রস্ত। তাদের মাথা গোঁজার সেই জায়গাটুকু আর রাখা হচ্ছে না।
রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিত্তবানরা হাজার হাজার বিঘা খাসজমি দখল করে রেখেছে, তবে এদের বিষয়ে সরকার নিশ্চুপ। শুধু টিভিতে প্রচার নয় ভূমিদস্যুদের কবল থেকে খাসজমি উদ্ধার করে প্রকৃত ভূমিহীনদের পুনর্বাসন করতে হবে।
প্রতিবাদ সমাবেশে সিপিবি রংপুর জেলা সভাপতি শাহাদাৎ হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বাসদ রংপুর জেলার আহ্বায়ক আব্দুল কুদ্দুস, সদস্য সচিব মমিনুল ইসলাম, বাসদ (মার্কসবাদী) রংপুর জেলা সদস্য সচিব আহসানুল আরেফিন তিতু, সিপিবি মহানগর সভাপতি সাজ্জাদুর রহমান সাজু, সংগঠক সাজু বাসফোর প্রমুখ।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরআই