নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার একটি পুকুরে অন্যান্য মাছের সঙ্গে মিলেছে ৩৫টি রুপালি ইলিশ। প্রতিটি ইলিশের ওজন প্রায় ৪০০ গ্রাম করে। শুক্রবার (১৩ মে) বিকেলে উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ‘যুগান্তর কিল্লা’ পুকুরে জেলেদের জালে মাছগুলো ধরা পড়ে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. আবদুল্লাহ আল মামুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রায় ৪০ পরিবার ‘যুগান্তর কিল্লা’ পুকুরটি ব্যবহার করে। এ বছর আমার বাবা আবদুল মান্নান পুকুরটি কিনেছেন।  প্রায় সাতদিন ধরে পুকুরটি সেচের জন্য মেশিন ব্যবহার করা হয়েছে। আগামীকাল সেচের পুরো কাজ শেষ হবে। আজ পুরো পুকুরে জেলেদের দিয়ে জাল ফেলানো হয়েছে। সে জালে অন্যান্য মাছের সঙ্গে ৩৫টি ইলিশ ধরা পড়ে।

নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আফছার দিনাজ ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, গত বছর ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে নিঝুমদ্বীপের প্রায় সবগুলো পুকুর তলিয়ে যায়। এর মধ্যে যুগান্তর কিল্লা পুকরটিও ছিল। সেখানে আবদুল মান্নান ৩৫টি ইলিশ মাছ পেয়েছেন। মূলত জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় তখন ইলিশ পুকুরে এসেছে।

পুকুরের মালিক আবদুল মান্নান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিকেলে জেলেদের দিয়ে জাল ফেলে অন্যান্য মাছের সাথে ৩৫টি ইলিশ মাছ পেয়েছি। মাছগুলো ৩০০ গ্রাম থেকে ৪০০ গ্রামের মধ্যে। সবগুলো মিলে প্রায় ৭-৮ কেজি হবে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, পুকুরে ইলিশ হয় বিষয়টি এমন নয়। মূলত জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় তখন ইলিশ পুকুরে এসেছে। নিঝুমদ্বীপ নিম্নাঞ্চল তাই জোয়ারে প্লাবিত হয়। পুকুরটি যখন প্লাবিত হয়েছে, তখন ইলিশ প্রবেশ করেছে। এছাড়া আলাদা কিছু এখানে নেই।

এ বিষয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. নাজমুস সাকিব খান ঢাকা পোস্টকে বলেন,  ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ। ইলিশ মাছ একটি বিচিত্র বৈশিষ্ট্যের মাছ। জোয়ারের পানি পুকুরে প্রবেশ করলে তখন নোনা পানির সঙ্গে ইলিশও প্রবেশ করতে পারে।

হাসিব আল আমিন/আরএআর