খুলনায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে ব্যবসায়ী নিহত, স্ত্রী আহত
খুলনায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে মো. রকিবুল ইসলাম খন্দকার (৪০) নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১২ মে) রাতে খুলনার ফুলতলা ও যশোরের অভয়নগর উপজেলার সংযোগস্থল কপালিয়া সেতুর ওপর এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী পিয়ারী বেগম বর্ষা (২৭) আহত হয়েছেন। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
নিহত রকিবুল ফুলতলা উপজেলার এম এম কলেজপাড়ার বাসিন্দা মাহবুব খন্দকারের ছেলে।
ফুলতলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস তালুকদার ও যশোরের অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হাসান হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ফুলতলা বণিক কল্যাণ সোসাইটির ক্রীড়া সম্পাদক মো. রকিবুল ইসলাম রাতে মোটরসাইকেলযোগে স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফিরছিলেন। ফুলতলা ও অভয়নগর উপজেলার সংযোগস্থল কপালিয়া সেতুর ওপর পৌঁছালে দুজন যুবক তাদের ডাক দেন। ওই যুবকদের কাছে যাওয়া মাত্রই তাকে লক্ষ্য করে দুটি গুলি করেন তারা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রকিবুল ইসলামের স্ত্রী বর্ষা বেগম জানান, অভয়নগরের দত্তগাতি এলাকার আলম মেম্বারের দাওয়াতে ও লেনদেন-সংক্রান্ত ব্যাপারে বিকেলে মটরসাইকেলযোগে তারা যান। সেখানে আলম মেম্বার, পিয়ুজ ও ভবদহ এলাকার শুভ উপস্থিত ছিল। খাওয়াদাওয়া শেষে কিছু টাকা নিয়ে রাত ৮টার দিকে ফুলতলায় ফেরার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে কিছুটা সামনে আসলে ভাঙাচোরা রাস্তায় মোটরসাইকেলের গতি কম থাকলে অল্প বয়সী অস্ত্রধারী দুই যুবক তাদের গতিরোধ করে। এ সময় তারা পেছন দিক থেকে রকিবুলের ডান পাজরে গুলি করে। তখন সে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে কানের নিচে ও ডান হাতে গুলি করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। এ সময় বর্ষা বাধা দিলে তিনিও হাতে ও পেটে গুলিবিদ্ধ হন।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে দ্রুত ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসে। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক রকিবুলকে মৃত ঘোষণা করেন আর গুলিবিদ্ধ বর্ষাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ফুলতলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস তালুকদার বলেন, পাওনা টাকা আদায় শেষে ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের গুলিতে রকিবুল নিহত হন। রাতেই নিহত তার সুরতহাল রিপোর্ট শেষ হয়েছে। শুক্রবার (১৩ মে) লাশের ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।
মো. মিলন/জাহিদ/আরএআর