ঈদের দিন দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। এছাড়া জেলার অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রগুলোতেও দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে। 

মঙ্গলবার (৩ মে) থেকে শনিবার (৭ মে) পর্যন্ত কক্সবাজারে অন্তত তিন লাখ পর্যটকের সমাগম হবে বলে ধারণা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। ফলে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। 

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিচ কর্মী মাহবুবুর রহমান জানান, বেলা ১১টার পর থেকে সমুদ্র সৈকতে আসতে শুরু করেন দর্শনার্থীরা। দুপুরের দিকে সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্ট দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে। বিকেলের দিকে আরও বেশি দর্শনার্থী সৈকতে নামেন। 

তিনি জানান, ঈদের দিন সৈকতে ঘুরে বেড়ানো দর্শনার্থীদের অধিকাংশই স্থানীয় লোকজন। তারা ঈদের ছুটিতে বেড়াতে আসেন সৈকতে। আগামীকাল থেকে দূর-দূরান্তের পর্যটকরা আসবেন। 

কক্সবাজারের লাবণী পয়েন্ট ব্যবসায়ী সমিতির নেতা হাবিবুর রহমান জানান, আজ ঈদের দিনে কিছুটা ব্যবসা হয়েছে। আগামীকাল থেকে ব্যবসা জমে উঠবে। 

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঈদের লম্বা ছুটিতে কক্সবাজারে বিপুল সংখ্যক পর্যটক আগমনের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে হোটেল কক্ষ বুকিংয়ে বেশ সাড়া মিলেছে। প্রতিটি হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউসের ৭০-৮০ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। এর মধ্যে তারকা মানের হোটেলগুলোতে বুকিং বেশি হয়েছে। 

এদিকে সম্প্রতি কক্সবাজারে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষিতে পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে সৈকতসহ হিমছড়ি, ইনানি, রামু, মহেশখালী ও আশপাশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শতভাগ নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রে রাত-দিন টহলে থাকবে ট্যুরিস্ট পুলিশের দল।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ঈদের পরে সাতদিন পর্যন্ত কক্সবাজার জেলাজুড়ে পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। 

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা এবং স্বাচ্ছন্দ্যে বিচরণসহ সার্বিক বিষয়ে বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। কোনোভাবে যাতে সমস্যা না হয়, সে ব্যাপারে বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। 

সাইদুল ফরহাদ/আরএআর