পাটুরিয়ায় গাড়ির লম্বা সারি, ফেরি পেতে দীর্ঘ অপেক্ষা
ঈদ সামনে রেখে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাট দিয়ে বাড়ি ফিরছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ২১ জেলার মানুষ। এতে ঘরমুখী যাত্রী ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির চাপ বাড়ছে।
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সকাল থেকে ফেরিঘাট এলাকায় বাড়তে শুরু করে ছোট গাড়ি চাপ। ফলে ছোট গাড়ির চালকদের ফেরিতে উঠতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা।
বিজ্ঞাপন
তবে নৌপথে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকায় তেমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না ছোট গাড়ির যাত্রী ও চালকদের।
এদিকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় সকালের দিকে যাত্রীবাহী বাসের কিছুটা চাপ থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঘাট এলাকায় কমে গেছে বাসের চাপ। তবে পাটুরিয়া লঞ্চঘাটে ঘরমুখী সাধারণ যাত্রী চাপ রয়েছে। নৌপথে ছোট-বড় মিলে চলছে ২১টি ফেরি এবং ২০টি যাত্রীবাহী লঞ্চ দিয়ে যাত্রী যানবাহন পারাপার করছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে বেলা ১১টার দিকে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে দেখা গেছে, ঘাটের ৫ নম্বর ঘাট এলাকায় থেকে নালী বাজার ছাড়িয়ে গেছে ছোট গাড়ির সারি। এতে পাঁচ শতাধিক ছোট গাড়ির নৌপথ পারাপারে অপেক্ষমাণ থাকতে দেখা গেছে। এদিকে পাটুরিয়ার লঞ্চঘাট এলাকায় ঘরমুখী যাত্রীর চাপ রয়েছে। ফেরিঘাট এলাকায় স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে পুলিশ। তবে পর্যাপ্ত ফেরি ও লঞ্চ থাকায় নৌপথে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে তেমন ভোগান্তি নেই বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
পাটুরিয়ারমুখী নালী বাজারে আলাপকালর ছোট গাড়ির চালক হুমায়ুন কবির বলেন, ঢাকা থেকে রওনা হয়ে সকাল ৮টার দিকে টেপড়া এলাকার রোড দিয়ে প্রায় ৩ ঘণ্টায় এই পর্যন্ত এসেছি। অপেক্ষা করতে হচ্ছে তবে গতবারের মতো নয়। আশা করছি ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ফেরিতে ওঠতে পারব।
ব্যক্তিগত প্রাইভেট কারে পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি বরিশালের গুঠিয়ায় যাচ্ছেন মো. হানিফ আলী। তিনি বলেন, ঈদের সময় পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় এটি ঠিক। তবে এবার ভোগান্তি অনেক কম আর গাড়ির লাইনে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা অপেক্ষার পরই নদী পার হতে পারছি। গরমের কারণে গাড়ির ভেতরে শিশু বাচ্চা আর নারীদের ভোগান্তি বেশি হচ্ছে। তবুও বাবা-মায়ের সাথে ঈদ করতে পারছি, তাতেই অনেক খুশি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ বলেন, এবারের ঈদযাত্রায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথের পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় যাত্রী ও যানবাহন চালকদের তেমন ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে না। ঘাটে আসার পর কিছুটা সময় অপেক্ষার পরেই ফেরিতে উঠতে পারছে।
তিনি বলেন, সকাল থেকে ঘাট এলাকায় ছোট গাড়ির চাপ রয়েছে। তবে পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় এসব যানবাহন ও যাত্রীরা তেমন ভোগান্তি ছাড়াই নৌপথ পারাপার হচ্ছে। এখন ঘাটে ২০ থেকে ৩০টির মতো পরিবহন বাস এবং শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক নৌপথ পারাপারের অপেক্ষমাণ রয়েছে।
লঞ্চঘাটের সুপারভাইজার পান্না নন্দি লাল বলেন, আজ সকাল থেকেই লঞ্চঘাটে সাধারণ যাত্রীদের বেশ চাপ রয়েছে। তবে যাত্রীরা লঞ্চঘাটে আসামাত্রই টিকিট নিয়ে লঞ্চে উঠে নদী পার হচ্ছে। ঘরমুখী এসব যাত্রীর নিরাপদে নৌপথ পারপারে ২০ লঞ্চ চলাচল করছে।
সোহেল হোসেন/এনএ