ডেন্টালে প্রস্তুতির বিষয়ে জানালেন দেশসেরা ইভা
আমি সারা দেশে প্রথম হয়েছি। বিষয়টি আমার খুব ভালো লাগছে। এখন ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করতে চাই। আমি ঢাকা মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় ৫০তম স্থান অর্জন করেছি। মেডিকেল নিয়েই লেখাপড়া করতে চাই।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকা পোস্টকে নিজের অনুভূতির কথা বলে ইভা।
বিজ্ঞাপন
সারা দেশে ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন মুন্সিগঞ্জের শিক্ষার্থী নাসরিন সুলতানা ইভা। রোববার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এর আগে মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় তিনি মেধাতালিকায় ৫০তম স্থান অর্জন করেছিলেন।
মেয়ের সাফল্যে খুশি শিক্ষক বাবা ও গৃহিণী মা। তারা সফলতার পাশাপাশি দোয়া করেন যে ইভা যেন দেশের সেবা করতে পারে।
ইভার বাবা মো. ইউনুস আলী বলেন, ইভা ঢাকা মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় ৫০তম স্থান লাভ করেছে। আবার ডেন্টালে প্রথম হলো। বাবা হিসেবে আমি গর্বিত। ইভা কোনো শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়েনি। অনলাইনে বিভিন্ন ক্লাস করেছে। পাশাপাশি তার কলেজের শিক্ষকরা তার জন্য অনেক পরিশ্রম করেছেন। বিশেষ করে তার পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক ইভাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন। তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
ইভার মা আরজিনা বেগম বলেন, আমি খুবই খুশি আজ। আমার মেয়ে ছোটবেলা থেকেই সব পরীক্ষায় মেধার স্বাক্ষর রেখেছে। আজ সে পরিশ্রমের ফল পেয়েছে।
ইভার জন্ম ও গ্রামের বাড়ি মেহেরপুর জেলার পিরোজপুর গ্রামে। তবে জন্মের ছয় মাস পরই বাবার চাকরি সূত্রে চলে আসেন মুন্সিগঞ্জে। লেখাপড়া বেড়ে উঠেছেন মুন্সিগঞ্জ জেলায়। ১৯ বছরেরও বেশি সময় ধরে সদর উপজেলার সিপাহীপাড়ার শাখারিবাজার এলাকায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করছেন তিনি।
তার বাবা মো. ইউনুস আলী সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গণিতের প্রভাষক। মা আরজিনা বেগম গৃহিণী। দুই বোনের মধ্যে ইভা বড়। তিনি এ বছর মুন্সিগঞ্জের নয়াগাঁওয়ে অবস্থিত প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন।
ইভা বলেন, আমার বাবা মুন্সিগঞ্জে চাকরি করেন। বাবার চাকরি সূত্রে আমার জন্মের ছয় মাস পরেই মুন্সিগঞ্জে চলে আসি। তবে আমার জন্ম মেহেরপুর জেলায়। আমরা দুই বোন। আমি বড় হয়ে ভালো ডাক্তার হতে চাই, মানুষের সেবা করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার আগে থেকেই মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার জন্য আলাদাভাবে কোনো প্রস্তুতি নিতে হয়নি।
প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মেজর মো. শাহ আলম বলেন, করোনার সময় আমরা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলাম। তখন অনলাইন ক্লাসের গুরুত্ব অনুভব করি। সব শিক্ষকের প্রচেষ্টা আর ইভার ইচ্ছাশক্তির কারণে এই ফলাফল সম্ভব হয়েছে। আমি সাবেক অধ্যক্ষসহ সব শিক্ষকের কাছে কৃতজ্ঞ।
ব.ম শামীম/এনএ