ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য, ২ আ.লীগ নেতাকে অব্যাহতি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ায় নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদেরকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য জেলা আওয়ামী লীগের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন রুমি ও সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

অব্যাহতিপ্রাপ্তরা হলেন- কবিরহাট উপজেলার ৩ নম্বর ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মন্নান মুনাফ এবং ৫ নম্বর চাপরাশিরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ বিএসসি।

এর আগে ১৭ এপ্রিল সভাপতি-সম্পাদক স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও যুগ্ম আহবায়কের কাছে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন রুমি বলেন, গত ১৫ এপ্রিল কবিরহাট উপজেলাধীন নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর বাসভবনে ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে ৩ নম্বর ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মন্নান মুনাফ এবং ৫ নম্বর চাপরাশিরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ বিএসসি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী-৫ আসনের সংসদ সদস্য আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ এবং সংগঠনবিরোধী বক্তব্য দেন। তাদের বক্তব্যে আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদের সাহেবের সম্মানহানি হয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, সংগঠনবিরোধী ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের কারণে তাদেরকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি ও কারণ দর্শানো হয়েছে। পাশাপাশি তাদেরকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য জেলা আওয়ামী লীগের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। 

জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়ির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন বলেন, আমাদের প্রিয় নেতা ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ এবং সংগঠনবিরোধী বক্তব্য দেওয়ায় আবদুল মন্নান মুনাফ ও হানিফ বিএসসিকে দলীয় পদ থেকে অব্যহতির বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আমরা তাদেরকে পদ থেকে অব্যহতি দেওয়ার জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগকে নির্দেশ দিয়েছি। স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগ আমাদের যে চিঠি দিয়েছে, সেই চিঠি সুপারিশ সহকারে আমরা কেন্দ্রে পাঠাব। এই ক্ষেত্রে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে।

এ বিষয়ে ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান মুনাফ এবং চাপরাশিরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ বিএসসি ঢাকা পোস্টকে বলেন, যা সত্য তাই বলেছি।  ওবায়দুল কাদের সাহেব আমাদের এমপি। আমরা ভোটের সময় উনার জন্য মাঠে লড়েছি। উনি ভোট শেষ হলে আমাদের ভুলে যান। এলাকার কোনো প্রয়োজনে উনাকে পাই না।

হাসিব আল আমিন/আরএআর