ফরিদপুরে হঠাৎ করে বেড়ে গেছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী। জেনারেল হাসপাতালের ১৬ শয্যার বিপরীতে ৩১ জন রোগীকে দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২৮ জন রোগী।

শনিবার দুপুরে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, রোগী ও স্বজনদের চাপে গিজ গিজ করছে ওয়ার্ড। ওয়ার্ডে শয্যা মাত্র ১৬টি। কিন্তু রোগী ভর্তি রয়েছেন ৩১ জন। অনেক রোগীকে বারান্দায় এবং কাউকে কাউকে মেঝেতে রেখে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।

ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন শহরের টেপাখোলার বাসিন্দা বিলকিস বেগম (২৬)। তিনি বলেন, শুক্রবার ইফতারের সময় পেঁয়াজু, ছোলা, বড়া এবং দুধ খাই। রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি হই।

হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, ফরিদপুর শহরের চরকমলাপুর মহল্লার সওরাতুল হেরা মহিলা মাদরাসার চারজন শিক্ষার্থী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

ডায়রিয়া ওয়ার্ডের দায়িত্বরত সেবিকা গোলাপী বেগম বলেন, শুক্রবার থেকে হঠাৎ করে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। এ দিন সকালে ১১ জন রোগী ভর্তি ছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২৮ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। মূলত ঘণ্টায় ঘণ্টায় নতুন রোগী আসছে, আবার তারা সুস্থ হয়ে ফিরে যাচ্ছে।

ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে হঠাৎ করে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী সংখ্যা বেড়ে গেছে।গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত সাত দিনে এ হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ১২৬ জন। গত এক মাসে চিকিৎসা নিয়েছেন ২৫৩ জন।

ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা গনেশ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ফরিদপুরে হঠাৎ করে ডায়রিয়ায় আক্রান্তের হার বেড়ে গেছে। বিশেষ করে গরমের কারণে ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবে ডায়রিয়া আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। বেশি করে পানি পান করা এবং ভাজা-পোড়া খাবার এড়িয়ে গেলে ডায়রিয়া থেকে দূরে থাকা সম্ভব।

জহির হোসেন/এসপি