দুই বন্ধু নতুন মোটরসাইকেল নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) বেড়াতে গিয়েছিলেন গাজীপুর মহানগরের মোল্লাপাড়া এলাকায়। রাত ৯টার দিকে সেখান থেকে ফেরার পথে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নাওজোড় এলাকার উড়াল সড়কের পাশে বাসন থানার তিন পুলিশ সদস্য তাদের গতিরোধ করেন। পরে মামলার ভয় দেখিয়ে ১২ হাজার ৮০০ টাকা নেয়ার অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় ওই তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

তিন পুলিশ সদস্য হলেন- গাজীপুর মহানগরের বাসন থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শাহাদত হোসেন, কনস্টেবল মো. মিন্টু ও মো. নোমান।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) জাকির হাসান। তিনি জানান, গাজীপুরের বাসন থানার এএসআই শাহাদাত হোসেন বৃহস্পতিবার রাতে দুই যুবককে আটক করে। তাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠায় শুক্রবার দুপুরে এএসআই শাহাদাতকে বাসন থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাটি তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযোগকারী দুই যুবক হলেন- কালিয়াকৈরের মধ্যপাড়া ইউনিয়নের নস্করচালা গ্রামের দুই বন্ধু মনির হোসেন ও আলফাজ হোসেন। 

আলফাজ ও মনির জানান, নতুন মোটরসাইকেল নিয়ে মোল্লাপাড়া এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে যান তারা। বেড়ানো শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে নাওজোড় এলাকায় উড়ালসড়কের পাশে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অভিযুক্ত তিন পুলিশ সদস্য গতিরোধ করেন। পরে তারা মোটরসাইলের কাগজপত্র যাচাইয়ের নামে দেহ তল্লাশিসহ নানাভাবে হয়রানি ও মামলা দিয়ে গ্রেপ্তারের ভয়ভীতি দেখান। দুই কনস্টেবল পকেট তল্লাশি করে দুইজনের কাছ থেকে ৬ হাজার ৮০০ টাকা নিয়ে নেয় এবং বাড়িতে খবর দিয়ে আরও টাকা আনতে বলে। ছেলেদের আটক করার খবর পেয়ে রাতেই মনির ও আলফাজের বাবা সেখানে ছুটে যান। পরে আরও ৬ হাজার টাকা দিলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

আলফাজ ও মনির আরও জানায়, দুই মাসের বেতন দিয়ে কেনা মোটরসাইকেল নিয়ে বেড়াতে যায় তারা।মোটরসাইকেল কেনার রশিদও তাদের সঙ্গে ছিল। সেটি দেখালেও পুলিশ নানাভাবে ভয়ভীতি দেখায়। পরে ১২ হাজার ৮০০ টাকা দিলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মালেক খসরু জানান, অভিযুক্ত ওই তিন পুলিশ সদস্যকে সিসি দিয়ে মেট্টোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

শিহাব খান/এসপি