অভিযুক্ত রিমন, মহিন ও রহিম

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত জান্নাতুল ফেরদাউস তাসপিয়ার (৪) মৃত্যুর ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে প্রধান আসামিরা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাসপিয়ার স্বজনেরা। 

শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে নিহত তাসপিয়ার বাবা গুলিবিদ্ধ মাওলানা আবু জাহের ক্ষোভ প্রকাশ করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার বিয়ের ৮ বছর পর আল্লাহ একটা মেয়ে সন্তান দিয়েছেন। প্রবাসে থাকার কারণে ৪ বছর পর এবার দেশে এসে তাকে দেখলাম। অথচ তাকেই কেড়ে নিল আমার বুক থেকে। এখন আমার সোনামণি কবরে শুয়ে আছে আর প্রধান আসামিরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। আমি খুনিদের ফাঁসি চাই।

তাসপিয়ার খালু হুমায়ুন কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছি। পুলিশ মাত্র ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা রিমন, মহিন ও রহিমসহ প্রধান আসামিদের এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে এ ঘটনায় ন্যায়বিচার প্রার্থনা করছি।

বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর অভিযান চালিয়ে পৃথক স্থান থেকে সন্দেহজনক তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। পরে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান রাজিব ঢাকা পোস্টকে বলেন, ধরা-ছোঁয়ার বাইরে বিষয়টা এমন নয়। বারবার জায়গা পরিবর্তনের কারণে তাদের গ্রেপ্তারে অসুবিধা হচ্ছে। আসলে প্রধান আসামিরা আমাদের নজরদারিতে আছে। আমরা খুব তাড়াতাড়ি তাদের গ্রেপ্তার করতে পারব।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নে সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাবার কোলে থাকা জান্নাতুল ফেরদাউস তাসপিয়া নামে এক শিশু নিহত হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয় শিশুটির বাবা সৌদি প্রবাসী মাওলানা আবু জাহের।

হাসিব আল আমিন/আরআই