স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাঙালি যুদ্ধ করেছে অনেকবার, কিন্তু স্বাধীনতা আসেনি। মূল স্বাধীনতাটা হাজার বছরেও আসেনি। আমাদের নেতা বঙ্গবন্ধু আমাদের দেখিয়ে দিয়েছেন স্বাধীনতাটা কী। এর আগে বহু বীর আত্মত্যাগ করে গেছেন। স্বাধীনতার স্বপ্ন আমাদের কাছে স্বপ্নই ছিল। বঙ্গবন্ধু আমাদের সেই স্বপ্নকে সত্য করে দিয়েছেন বলেই আজকে আমরা স্বাধীন দেশের মানুষ হিসেবে মাথা উঁচু করে চলছি। 

রোববার (২৭ মার্চ) রাত ৮টার দিকে মুন্সীগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মিলনমেলায় তিনি এসব কথা বলেন। 

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আমরা একবার চট্টগ্রামের বেতবুনিয়া থেকে দাউদকান্দি হয়ে মুন্সীগঞ্জের টংগিবাড়ী হয়ে পদ্মা নদী দিয়ে ভাগ্যকুলের দিকে এগুচ্ছিলাম। সন্ধ্যার দিকে পাওয়ার টিলার চলছিল। আমরা ভাবছিলাম পাকিস্তানি সৈন্যরা বুঝি এসে গেছে। আমরা যে কজন ছিলাম সবাই মাটিতে গড়াগড়ি করে পরে দেখি পাওয়ার ট্রিলার। এটি সেই টংগিবাড়ী। প্রায়ই আমার টংগিবাড়ীর কথা মনে পড়ে।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বয়স ছিল মাত্র ২১ বছর। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ আমাকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। ১৫ আগস্টের পর আমরা দেখলাম দেশকে আরেকটি দেশে রূপান্তরিত করার পাঁয়তারা চলছে। আমরা তখন সহ্য করতে পারছিলাম না। বঙ্গবন্ধুর কন্যা যেদিন দেশে এলেন, সেদিন থেকে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াল। আজ আমরা সম্ভবনাময় দেশে পরিণত হয়েছি। আজকে আমরা পদ্মা সেতু দেখছি, মেট্রো রেল দেখছি। এখনো দেখছি ষড়যন্ত্র চলছে, পাঁয়তারা চলছে। এখনো সেই ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের পাঁয়তারা চলছে। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতদিন দেশ পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন, ততদিন বাঙালি জাতি নিরাপদ থাকবে এবং দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বের দরবারে আরও উজ্জ্বল হবে। 

মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক ও মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মৃনাল কান্তি দাস, সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, বীর মুক্তিযোদ্ধা এসপি মাহবুব উদ্দিন বীর বিক্রম, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জিহাদুল কবির, মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ লুৎফর রহমান, টংগিবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান জগলুল হালদার ভুতু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজ আল আসাদ বারেক, সাধারণ সম্পাদক আহসান কবির হাওলাদার প্রমুখ।

ব.ম শামীম/আরএআর