আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত
নেত্রকোণায় আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে বেশ কয়েকটি গ্রামে অন্তত দেড় শতাধিক কাঁচা ও আধাপাকা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলার হাওরাঞ্চল মোহনগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়া ও বড়তলী বানিহারী ইউনিয়নে এ ঘটবা ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) বিকেলে মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহম্মেদ আকুঞ্জির সঙ্গে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
বিজ্ঞাপন
ইউএনও বলেন, আমরা ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর খোঁজখবর নিচ্ছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হবে।
ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোহনগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের পশুখালী, আনন্দনগর, হরিপুর ও আজমপুর এবং একই উপজেলার বড়তলী বানিহারী ইউনিয়নের ফিরোজপুর ও বারোঘর নওগাঁ গ্রামসহ আশপাশের গ্রামগুলোর ওপর দিয়ে আকস্মিক ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড়ে ওই গ্রামগুলোর অন্তত দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের পশুখালী ও বড়তলী বানিহারী ইউনিয়নের ফিরোজপুর গ্রাম।
পশুখালী গ্রামের বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত মুসলিম শাহ জানান, বৃহস্পতিবার রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘুমাতে যাব, এমন সময় হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় শুরু হয়। পরে ১০-১২ মিনিট চলে এ ঝড়। এতে আমার ঘরটি সম্পূর্ণ ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। দ্রুত নতুন ঘর তৈরির মতো ক্ষমতা আমার নেই। তাই পরিবার নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করা ছাড়া কোনো উপায় দেখছি না।
তিনি বলেন, আমাদের গ্রামে অন্তত অর্ধশত ঘরবাড়ি ভেঙেছে ঘূর্ণিঝড়ে। দ্রুত সরকারি সহায়তা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম চৌধুরী জহর বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আমার ইউনিয়নে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর খোঁজখবর নিচ্ছি এবং তালিকা করছি।
বড়তলী বানিহারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহাগ তালুকদার জানান, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করছি। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছি এবং থাকব ইনশাআল্লাহ।
জিয়াউর রহমান/আরএআর