কালীগঞ্জ উপজেলায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে দাঁড়িয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও ২০ জন।

নিহতদের মধ্যে আট জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের সুন্দরপুরের ইসহাক আলীর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (২৫), একই উপজেলার রনজিত দাশের ছেলে সনাতন দাশ (২৫), শৈলকুপা উপজেলার বগুড়া গ্রামের মৃত মহরম বিশ্বাসের ছেলে আব্দুল আজিজ (৭০), ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নাথকুন্ডুু গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে ইউনুস আলী (২৪), কোটচাঁদপুর উপজেলার হরিন্দিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে হারুনুর রশিদ সোহাগ (২৪), চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে রেশমা (২৬), আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ গ্রামের জান্নাতুল বিশ্বাসের ছেলে ওয়ালিউল আলম শুভ (২৫) এবং মাগুরার গাড়িচালক উজ্জ্বল হোসেন (৩৫)। বাকি তিন জনের পরিচয় জানা যায়নি। আহতদের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (‌১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা সুমন আলী।

তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে নয় জন নিহত হয়েছেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ২০ জনকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হতাহতরা সবাই বাসের যাত্রী।

কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা শেখ মামুনুর রশিদ বলেন, যশোর থেকে কুষ্টিয়ায় যাচ্ছিল জে কে পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস। কালীগঞ্জের বারোবাজার এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের চাকা পাঙ্কচার হয়ে রাস্তার ওপর উল্টে যায়। এ সময় বাসটির সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা মালবোঝাই ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নয় জন নিহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দুজনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত ২০ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বারোবাজার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মেসবাহ উদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনার পর যাত্রীবাহী বাস থেকে এ পর্যন্ত নয় জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত অবস্থায় ২২ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে আরও দুজনের মৃত্যু হয়।

দুর্ঘটনায় নয় জন নিহত হয়েছেন নিশ্চিত করে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান মিয়া বলেন, যাত্রী নিয়ে যশোর থেকে কুষ্টিয়ায় যাচ্ছিল জে কে পরিবহনের বাস। কালীগঞ্জের বারোবাজার এলাকায় পৌঁছালে বাসটিকে ওভারটেক করে একটি ট্রাক। এ সময় বাসচালক নিয়ন্ত্রণ হারালে মহাসড়কের ওপর বাসটি উল্টে যায়। ঠিক তখন বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি ট্রাক বাসকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই বাসের নয় যাত্রী নিহত হন। পাশাপাশি আরও ২২ জন আহত হন। আহতদের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে আরও দুজনের মৃত্যু হয়। এ পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আব্দুল্লাহ আল মামুন/এএম