নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় আরও এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (২১ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে চর সৈয়দপুরের আল আমিননগর এলাকায় মরদেহটি ভেসে ওঠে।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, দুপুরে উদ্ধার করা মরদেহটি এক নারীর। তার নাম উম্মে খায়রুন ফাতেমা। বয়স ৪০ বছর। তিনি সোনাগাঁয়ের হাড়িয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত আটজনের মরদেহ উদ্ধার হলো বলে জানান তিনি। 

নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, তাদের কাছে নিখোঁজের তালিকায় এখনও চারজনের নাম রয়েছে। এরা হলেন- মুন্সিগঞ্জের হাতেম আলী, শিশু আরোহী, আব্দুল্লাহ আল জাবের ও জোবায়ের হোসেন। তবে সোমবার সকালে উদ্ধার হওয়া মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি বলে তিনি জানান।  

এর আগে ডুবে যাওয়া এমভি আশরাফ উদ্দিন নামে লঞ্চটি পানির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।  ভোরে লঞ্চটি টেনে তুলে নদীরে তীরে আলামিননগর এলাকায় রেখেছে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়।

নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ জানান, লঞ্চডুবির ঘটনায় প্রতিটি মরদেহের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হচ্ছে। উদ্ধার কাজ এখনও চলছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। উদ্ধার কাজ শেষ হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, রোববার (২০ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যায় এমভি রূপসী-৯ নামে একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় এমভি আশরাফ উদ্দিন নামে মুন্সীগঞ্জগামী একটি লঞ্চ ডুবে যায়। চর সৈয়দপুরের আল আমিননগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। লঞ্চডুবির ঘটনায় রোববার রাতেই ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে নৌ পুলিশ। এরা হলেন- মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার জয়নাল ভূঁইয়া (৫৫), আরিফা আক্তার (৩৫), তার ছেলে সাফায়েত (১৫ মাস), স্মৃতি রানী (২০), পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের সালমা বেগম (৪০) ও তার মেয়ে ফাতেমা (৭)।

আরএআর