সহকর্মীদের অনুরোধে নেচে ভাইরাল ব্যাংক কর্মকর্তা
সহকর্মীদের অনুরোধে ব্যাংকের ভেতরে ভারতীয় বাংলা গানের তালে নেচে ভাইরাল হয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা নলিনী রঞ্জন বিশ্বাস (৬০)। বুধবার (০৯ মার্চ) রাত ১০টার দিকে সোনালী ব্যাংকের ফরিদপুরের নগরকান্দা শাখায় এ ঘটনা ঘটে।
নলিনী রঞ্জন বিশ্বাস নগরকান্দা উপজেলার পুড়াপাড়া ইউনিয়নের মেহেরদিয়া গ্রামের ঠাকুর দাস বিশ্বাসের ছেলে। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ের বাবা। ওই শাখা থেকে এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অবসরে যান তিনি। তবে অবসরে গেলেও ব্যাংকের জনবল সংকট থাকায় চুক্তিভিত্তিক সম্মানির ভিত্তিতে কাজ করেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোনালী ব্যাংকের নগরকান্দা শাখায় বুধবার রাতে সহকর্মীদের অনুরোধে ভারতীয় বাংলা গানের তালে নাচ করেন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা নলিনী রঞ্জন বিশ্বাস। নাচের ভিডিওটি প্রথমে শফিক খান নামে ওই ব্যাংকের এক কর্মচারীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আপলোড করা হয়। গত তিন দিনে যা ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট, পেজ, গ্রুপ এমনকি জনপ্রিয় ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবেও।
ওই ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ব্যাংকে ১০ দিনব্যাপী অডিট কার্যক্রম শুরু হয়। যা শেষ হয় ৯ মার্চ। শেষ দিনে সহকর্মীদের অনুরোধে একটি ভারতীয় বাংলা গানের তালে তালে নাচ করেন তিনি।
২ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, গানের তালে নাচছেন ওই ব্যাংক কর্মকর্তা। ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দাঁড়িয়ে তার নাচ উপভোগ করছেন। কেউ কেউ হাততালিও দিচ্ছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নলিনী বিশ্বাসের দুই ছেলে ও এক মেয়ে। তার বড় ছেলে মৃণাল কান্তি বিশ্বাস বর্তমানে পটুয়াখালী জেলার একটি উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তার মেয়ে সজ্জিতা বিশ্বাস ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের বিবিএ চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও ছোট ছেলে মলয় কান্তি বিশ্বাস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
নাচের বিষয়ে জানতে চাইলে অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা নলিনী রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, অডিট কার্যক্রমের শেষ দিনে রাত ১০টার দিকে সহকর্মীদের অনুরোধ নেচেছিলাম। সেটা ভিডিও করে আপলোড করায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে। আমি নাচ করতে পারি। বিষয়টি আমার সহকর্মীরা আগেই জানতেন। তাদের অনুরোধেই সেদিন নেচেছিলাম।
নলিনী বিশ্বাসের ছোট ছেলে মলয় কান্তি বিশ্বাস বলেন, ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি আমাদের পরিবারে সব সময় শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা হয়। বাবা আমাদের এসব কাজে ছোটবেলা থেকেই উৎসাহ দিতেন।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও সোনালী ব্যাংকের নগরকান্দা শাখার ব্যাবস্থাপকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জহির হোসেন/এসপি