সাভারে করোনার টিকাপ্রত্যাশীদের স্রোত কমানোর জন্য ১২ ইউনিয়নে কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। সেখান থেকে ২৮ হাজার ৭০০ জনকে টিকা প্রদান করা হবে। তবে কমেনি টিকাপ্রত্যাশীর স্রোত। প্রতিটি কেন্দ্রে বরাদ্দের প্রায় ৫ গুণ বেশি মানুষ উপস্থিত হয়েছেন।

শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে আশুলিয়ার ইয়ারপুর, ধামসোনা, আশুলিয়া ও শিমুলিয়া ইউনিয়নের টিকাকেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, ১২  ইউনিয়নে কেন্দ্র প্রস্তুত করা হলেও টিকা নিতে আসা মানুষের ভিড় লক্ষণীয়। কেন্দ্রে ২ হাজার ৫০০ টিকা বরাদ্দ থাকলেও টিকাপ্রত্যাশীদের উপস্থিতি আনুমানিক ৭ হাজার।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্যমতে, শনিবার সাভারের ১২ ইউনিয়নে একযোগে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সাভার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পার্শ্ববর্তী টিকাকেন্দ্র বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ ম্যানেজমেন্টে (বিআইএইচএম) টিকাপ্রত্যাশীদের চাপ কমাতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এই কেন্দ্রে টিকাপ্রত্যাশীদের চাপ কমেছে। সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে বলে দাবি করেন কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ ম্যানেজমেন্ট (বিআইএইচএম) কেন্দ্র থেকে টিকা না নিয়ে ফিরে এসেছেন নাজিম উদ্দীন নামে এক ব্যক্তি। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, এবারের টিকা প্রদানের ব্যবস্থাপনা ভালো হয়েছে। তবে প্রতিটি ইউনিয়নে টিকার কেন্দ্র করা হলেও মানুষের ভিড় কমেনি। আমি ধামসোনা ইউনিয়নে টিকা নিতে এসেছি। এখানে তিন হাজার টিকা প্রত্যাশীকে টিকা প্রদান করা হবে। তবে প্রায় ৬ হাজার মানুষ এসেছেন টিকা নিতে। আজও টিকা পাব কি না সংশয় আছে।

অপর টিকাপ্রত্যাশী শাহজালাল বলেন, আমি সাভারে টিকা নিতে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেখানকার পরিস্থিতি শুনে আর যাইনি। এখন নিজ ইউনিয়নে টিকাকেন্দ্র হওয়ায় সেহেতু টিকা নেওয়ার জন্য এসেছি। এখনও বিশৃঙ্খলা চোখে পড়েনি। ভ্যাকসিন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে আড়াই হাজার। কিন্তু ভ্যাকসিন নিতে এসেছেন প্রায় ৭ হাজার। সেক্ষেত্রে শেষের দিকে একটু বিশৃঙ্খলা হতেই পারে।

সাভার উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা বলেন, সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় টিকাকেন্দ্রের পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক। গতকাল ছুটির দিনেও কাজ করেছেন আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা। আজ ১২ ইউনিয়নে চলছে টিকা কার্যক্রম। এখন পর্যন্ত সব কেন্দ্রে সুন্দরভাবে কার্যক্রম চলছে। আমি সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

মাহিদুল মাহিদ/এসপি