হাফ ভাড়া দিতে চাওয়ায় ঢাকা কলেজের তিন শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় ‘মিরপুর মেট্রো সার্ভিস’ পরিবহনের ৯টি বাস আটক করে রেখেছে শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কলেজের সামনের মিরপুর রোড থেকে বাসগুলো আটক করেন তারা। আটক বাসগুলো কলেজের পাশের নায়েমের গলিতে রাখা হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা জানান, বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর শ্যামলী বাস স্ট্যান্ড এলাকায় হাফ ভাড়া নিয়ে বাসের সহকারীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে ওই বাসে থাকা ঢাকা কলেজের তিন শিক্ষার্থী আহত হন। তারা হলেন— কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগ হোসেন, আশফাক ইমতিয়াজ ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী অমিত হাসান। তারা কলেজের দক্ষিণ ছাত্রাবাসের আবাসিক শিক্ষার্থী।

এছাড়া বাসে হাতাহাতির একপর্যায়ে ওই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে থাকা দুটি স্মার্টফোন এবং নগদ পাঁচ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। 

মারধরের শিকার শিক্ষার্থী আশফাক হোসেন বলেন, আমরা হাফ ভাড়া দিতে চাওয়ায় কথা-কাটাকাটির জেরে আমাদের ওপর চড়াও হন বাসের সহকারী এবং চালক। এ সময় আমাদের সঙ্গে থাকা দুটি স্মার্টফোন এবং নগদ পাঁচ হাজার টাকা তারা নিয়ে গেছে। মারধরের কারণে আমরা গলায় এবং হাতে আঘাত প্রাপ্ত হয়েছি। শেষ পর্যায়ে শ্যামলী বাসস্ট্যান্ডে গাড়ি থামিয়ে মেট্রো বাসের অন্যান্য সহকারীদের ডেকে আমাদের ওপর হামলা করে।

আটক বাসগুলোর চালকরা জানান, আমরা এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। ঢাকা কলেজের সামনে থেকে আমাদের ধরে এনে এখানে আটকে রাখা হয়েছে। আমরা মালিকদের জানিয়েছি, তারা ব্যবস্থা নেবেন।

এ বিষয়ে নিউমার্কেট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) সাহেব আলী বলেন, ঘটনাটি শ্যামলী এলাকার। পরে শিক্ষার্থীরা এখানে বাস আটক করেছে। আমরা খবর পেয়ে এসেছি। কলেজ প্রশাসন ও মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।

জানতে চাইলে ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার বলেন, সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। একের পর এক শিক্ষার্থী মারধরের ঘটনা ঘটছে। শুধু ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরাই নয়, বরং খারাপ আচরণের শিকার হচ্ছেন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আমরা কিছু জানি না। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নেব।

আরএইচটি/এসএসএইচ