২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে মিল রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও এ সময় সশরীরে ক্লাস শুরু হবে।

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিশ্বস্ত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এ সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তি শিগগিরই গণমাধ্যমে পাঠানো হবে বলেও নিশ্চিত করেছে সূত্রটি। 

সূত্র জানায়, যেহেতু জাতীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত এসেছে, সেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও এ সিদ্ধান্ত মেনে চলবে। প্রথম বর্ষের পাশাপাশি সকল বর্ষের ক্লাস সশরীরে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া অফিসসমূহ বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় সিদ্ধান্তের বাইরে না। করোনা সংক্রমণ যেহেতু কমেছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হবে এটা স্বাভাবিক। এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি আমরা গণমাধ্যমে পাঠাব। 

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রথম বর্ষের শ্রেণি কার্যক্রম ২২ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে, একইসঙ্গে অন্যান্য বর্ষের বিষয়ে আমরা দ্রুত একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেব।

এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের পরিচালক আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন ভর্তি হওয়া ১ম বর্ষের (সম্মান) শিক্ষার্থীদের সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রম শুরুর কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ভর্তিকৃত ১ম বর্ষ (সম্মান) শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রম যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে পুনরায় শুরু হবে। এছাড়া পূর্বঘোষিত রুটিনভিত্তিক পরীক্ষাসমূহ চলমান থাকবে।

করোনা সংক্রমণ দ্রুতগতিতে বেড়ে যাওয়ায় জাতীয় সিদ্ধান্তের সঙ্গে মিল রেখে ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুই সপ্তাহের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর আবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ৩ জানুয়ারি এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে চলমান ছুটি বাড়িয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়। এ সময় অনলাইন ক্লাস চালু ছিল।

তবে সশরীরে ক্লাস না হলেও পরীক্ষাগুলো সশরীরে নিয়েছে বিভাগুলো। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল, অফিস এবং গ্রন্থাগারও খোলা আছে।

এইচআর/এসকেডি