বসন্ত-ভালোবাসার মিশেলে রঙিন ঢাবি ক্যাম্পাস
আজ বসন্ত, আজ ভালোবাসার দিন। পহেলা ফাল্গুন আর ভালোবাসা দিবসে বাহারি সাজে সেজে ওঠে প্রকৃতি ও মানুষ। আর বসন্ত ও ভালোবাসা যখন মিশেল হয়, তখন এটি পরিণত হয় মহোৎসব। করোনার প্রভাব থাকলেও নানা বয়সী শ্রেণি-পেশার মানুষ মেতে উঠেছে এ উৎসবে। বাঙালির মনে চলছে বসন্ত আর ভালোবাসা নিয়ে উৎসব।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস যেন বরাবরের মতই পরিণত হয়েছে তরুণ-তরুণীদের প্রাণকেন্দ্রে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কংক্রিটের শহুরে জীবন থেকে মুক্তি নিতে সবাই ছুটে আসেন ঢাকার মাঝে এক চিলতে সবুজ ক্যাম্পাস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
বিজ্ঞাপন
টিএসসি, অপরাজেয় বাংলা, বটতলা, হাকিম চত্বর, ভিসি চত্বর, ফুলার রোড, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সবই যেন পরিণত হয়েছে যুগলদের মিলনমেলায়। কে কাকে আগে ভালোবাসার কথা জানাবেন অথবা প্রিয় মানুষটিকে আবারও আজ বলবেন ‘ভালোবাসি’—তারই যেন প্রতিযোগিতা চলছে। দিবসটিকে ঘিরেই নিয়মিত ফুল বিক্রেতাদের পাশাপাশি মৌসুমি হকাররাও গোলাপ ফুল ও ভালোবাসার প্রতীক ‘হার্ট’ চিহ্নিত বিভিন্ন রঙের বেলুন বিক্রিতে ব্যস্ত।
গত বছর নিজ ক্যাম্পাসে বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস উদযাপন করতে না পারলেও এবার সে আক্ষেপে পুড়ছেন না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভালোবাসার পুরনো আমেজে ফিরতে পেরে আনন্দিত তারা।
ঢাবির এক যুগল ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত বছর ভালোবাসা দিবসে বাড়িতে ছিলাম তাই প্রিয় মানুষটির সঙ্গে সময় কাটাতে পারিনি। তবে আজকের আনন্দ অন্যরকমভাবে অনুভূত হচ্ছে। সকাল থেকে কার্জন, মল চত্বর আর বটতলায় সময় কাটিয়েছি। আজকের দিনটি আমাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আসলে আমি আমার অনুভূতি বলে প্রকাশ করতে পারব না।
রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন দিবস ও ছুটির দিনগুলোতে ঢাবি ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসেন অনেক দর্শনার্থী। তেমনি একজন আবিদ হাসান। আজকের এই দিনটি উদযাপন করতে টিএসসিতে এসেছেন নিজের প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, প্রিয় মানুষটির আবদার পূরণ করতেই এখানে ঘুরতে এসেছি। টিএসসির ভালোবাসার আমেজ আসলেই অনেক সুন্দর। অনেক বেশি ভালো লাগছে।
আবার অনেকে ভালোবাসা দিবসকে নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ করতে চান না। কিছুটা প্রতিবাদ করেই তারা বলছেন, ভালোবাসা হোক সবার তরে, সবসময়ে। রাজধানীর মিরপুর থেকে ঢাবি ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসা রনি জানান, ভালোবাসা শুধু প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন সবাই ভালোবাসার অংশ। প্রতিদিনই আমরা একে অন্যকে ভালবাসি। যদিও দিনটিকে অনেকেই বিশেষ হিসেবেই নেয়, তবুও আমি মনে করি ভালোবাসার জন্য আলাদা কোনো দিনের দরকার নেই।
এইচআর/আইএসএইচ