দীর্ঘ ১০ বছরেরও বেশি সময়ের নির্মাণযজ্ঞ শেষে নতুন ভবন বুঝে পেয়েছে ঢাকা কলেজ প্রশাসন। এখন অপেক্ষা শুধু উদ্বোধনের। ভবনটির নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করেছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। ২০১১ সালের ৭ ডিসেম্বর ‘একাডেমিক কাম এক্সামিনেশন হল ভবন’ নামে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন ঢাকা-১২ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তবে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র শেখ জামালের নামে ‘লে. শেখ জামাল একাডেমিক ভবন’ নামকরণ করা হয়েছে।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) নতুন ভবন ঘুরে দেখা যায়, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান শফিক এন্টারপ্রাইজের কাছ থেকে ভবন বুঝে পাওয়ার পর গুছিয়ে নিতে কাজ করছে কলেজ প্রশাসন। স্থাপন করা হয়েছে নতুন নামফলক। মূল প্রশাসনিক ভবন থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ইতিহাস বিভাগ ও দর্শন বিভাগ ইতোমধ্যেই স্থানান্তর করা হয়েছে নতুন ভবনে। মনোবিজ্ঞান বিভাগ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের স্থানান্তরের প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে। লাইব্রেরি, শিক্ষার্থীদের পাঠকক্ষ, আইসোলেশন সেন্টার এবং মেডিকেল স্থাপন সেন্টার করা হয়েছে নিচতলা ও দ্বিতীয় তলায়। লিফটের ফাঁকা জায়গা বন্ধ করে রাখা হয়েছে ইটের গাঁথুনি দিয়ে। নতুন ভবনের সামনের ফাঁকা জায়গায় নির্মাণ প্রক্রিয়া চলছে নতুন শহীদ মিনারের। তবে পুরো ভবনজুড়ে প্রায় অধিকাংশ টয়লেটে পানির কল, জেডস্প্রে, বেসিনে পানির লাইন এখনও সচল করা হয়নি।

ঢাকা কলেজের সরকারি উন্নয়ন কাজ তদারক কমিটির আহ্বায়ক ও গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক অখিল চন্দ্র বলেন, আমরা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নতুন ভবন বুঝে পেয়েছি। টয়লেটের বেশকিছু অসঙ্গতি আমরা দেখেছি। সেগুলো ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ঠিক করে দেবে বলে আমাদের কাছে অঙ্গীকার করেছে। নতুন ভবনের লিফটের বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছে খুব দ্রুতই ব্যবস্থা করে দেবে।

‘লে. শেখ জামাল একাডেমিক ভবন’ উদ্বোধনের ব্যাপারে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই. কে. সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, বর্তমানে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও বাড়ছে। বৃদ্ধি পাওয়া এসব শিক্ষার্থীদের স্থান সংকুলান দিতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। সবমিলিয়ে ঢাকা কলেজে একটি নতুন ভবন খুব প্রয়োজন ছিল। এর ফলে আমাদের সমস্যা কিছুটা হলেও কমবে। আশা করি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি নবনির্মিত ‘লে. শেখ জামাল একাডেমিক ভবন’ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুতই এটি যেন উদ্বোধন করা যায়।

আরএইচটি/এসএসএইচ