রাবিতে নিহত হিমেলের নামে ভবনের নামকরণ করে সাইনবোর্ড
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ট্রাকচাপায় নিহত শিক্ষার্থী মাহমুদ হাবিব হিমেলের নামে ভবনের নামকরণ করে সাইনবোর্ড টানিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাস্থলের পাশেই নির্মাণাধীন ভবনের সামনে ‘শহীদ মাহমুদ হাবিব হিমেল একাডেমিক ভবন’ লেখা সাইনবোর্ড টানিয়ে দেওয়া হয়।
এ সময় রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আবদুল মজিদ অন্তর, রাবি শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি শাকিলা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক মিঠুন চন্দ্র মহন্ত, নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সভাপতি মেহেদী হাসান মুন্না, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আবদুল মজিদ অন্তর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে আমাদের একজন শিক্ষার্থীকে জীবন দিতে হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা ভবনটির নামকরণ যেন তার নামেই হয় সে দাবিই জানিয়েছি। তারা একমত হয়েছে। আমরা চাই ভবিষ্যতে যখন ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ হবে, তখন যেন তার নামেই নামকরণ করা হয়। সেজন্য আমরা তার স্মৃতি ধরে রাখতে তার নামেই নামকরণ করেছি।
হিমেলের সহপাঠী মিঠুন চন্দ্র মহন্ত বলেন, একজন শিক্ষার্থীর জীবন এই ভবনের অব্যবস্থাপনার কারণে এই ভবনের সামনে ঝরে গেছে। আমরা দাবি জানিয়েছিলাম সেই শিক্ষার্থী হিমেলের নামে এই ভবনের নামকরণ করতে হবে। পরবর্তীতে ভিসি স্যারসহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের আশ্বাস দেয় তারা এই ভবনের নামকরণ হিমেলের নামেই করবেন। আমরা মনে করি এই দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া অবধি আমাদের দাবি স্পষ্টভাবে আরও দৃশ্যমান থাকুক। এটা কেবল একটা সাইনবোর্ড নয়, এটা আমাদের ভালেবাসা, আবেগ, দাবির বহিঃপ্রকাশ। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত এই ভবনের নামকরণের সাইনবোর্ডটা আমাদের দাবিকে আরও জোরদার করে রাখবে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (০১ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে নির্মাণাধীন বিজ্ঞান ভবনের সামনে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের গ্রাফিকস ডিজাইন, ক্রাফট ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদ হাবিব হিমেল নিহত হন। ঘটনার পরপরই আন্দোলনে নামে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। সে সময় কয়েক দফা দাবির মধ্যে মাহমুদ হাবিব হিমেলের নামে বিজ্ঞান ভবনটির নামকরণের দাবি জানিয়েছিল আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
মেশকাত মিশু/আরএআর