ভিসির সঙ্গে সম্পর্কের বাঁধন ছিঁড়ে গেছে
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সম্পর্কের বাঁধন ছিঁড়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে অনশনস্থলে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা এ মন্তব্য করেন। তাদের পক্ষে কথা বলেন সাব্বির হোসেন ও নাফিসা আনজুম।
বিজ্ঞাপন
শিক্ষার্থীরা বলেন, স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনে জাতির পিতাকে জুলফিকার আলী ভুট্টো বারবার বলেছিলেন, ‘’এই সম্পর্ক (বাংলাদেশ-পাকিস্তান) রাখা যায় কি না’। জাতির পিতা স্বদেশে ফিরে বলেছিলেন, ‘ভুট্টো সাহেব, সুখে থাকুন। বাঁধন ছিঁড়ে গেছে, আর না’। আজ আমরা শাবিপ্রবির সব শিক্ষার্থীদের পক্ষে দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, এই স্বৈরাচারী ভিসির সঙ্গেও আমাদের সম্পর্কের বাঁধন ছিঁড়ে গেছে।
আন্দোলনে বহিরাগতদের অংশগ্রহণ ও রাজনৈতিক ইন্ধনের বিষয়ে তারা বলেন, আমাদের যৌক্তিক আন্দোলন নিয়ে দায়িত্বশীল মহলে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করা হচ্ছে। ভিসি অপসারণের দাবিতে এখন পর্যন্ত এটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলন। এখানে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ বা ইন্ধনের অভিযোগ সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং অমূলক। বহিরাগত কেউ এখানে প্রবেশ করছে না। রাজনৈতিক ইন্ধনের অভিযোগটিও সত্য নয়।
তারা বলেন, বহিরাগত কেউ যাতে এই আন্দোলনে আসতে না পারে, সেজন্য মূল ফটকে আইডি কার্ড চেক করা হচ্ছে। বুথ থেকে মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া নাম এন্ট্রি করে ভেতরে আসতে হচ্ছে। আমরা চাই না, বহিরাগতদের আগমনে আমাদের আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্ত হোক।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরণ অনশনের ১১৭ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও স্বৈরাচারী ভিসি আমাদের দাবির বিষয়ে বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ করছেন না। তাই তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বাসভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে বাধ্য হই। এছাড়া আর কোনো সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি। পরিস্থিতি বিবেচনায় এই পদক্ষেপকে নাশকতা বলা যায় না।
তারা বলেন, শিক্ষামন্ত্রী অনশন স্থগিত করে আলোচনায় বসতে বলেছেন। কিন্তু আমরা এক দফা দাবিতেই অনড় আছি। সেজন্য গতকাল শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়নি। আমরা এর আগে গণস্বাক্ষর নিয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে খোলা চিঠি পাঠিয়েছি। সেই চিঠির সদুত্তর এখনো পাইনি। আমরা অপেক্ষায় আছি।
পরবর্তী কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছি। মৃত্যুর পরে আর কী কর্মসূচি হতে পারে!
এএজে/এমএইচএস/জেএস