ঢাবির সাবেক অধ্যাপককে অপহরণের পর হত্যার অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যাপক সাইদা খালেককে (মোছা. সাইদা গাফফার) অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে গাজীপুর মহানগরীর দক্ষিণ পানিশাইল এলাকার আবাসন প্রকল্পের ভেতর একটি ঝোপের মধ্য থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মো. আনোয়ারুল ইসলাম (২৫) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। সে নিহত অধ্যাপকের বাড়িতে রাজমিস্ত্রির কাজ করত।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবে খোদা বলেন, সাইদা খালেকের মরদেহ একটি ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এমন তথ্য পুলিশকে দেন রাজমিস্ত্রি আনোয়ারুল ইসলাম। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই অধ্যাপকের গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মরদেহ পড়ে থাকে দেখে। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
অধ্যাপক সাইদা খালেক কাশিমপুরের পানিশাইল এলাকার মোশারফ মৃধার বাসায় ভাড়া থাকতেন। তিনি সেখান থেকে নিজের নির্মাণাধীন প্রজেক্টের দেখাশোনা করছিলেন। ওই বাসা থেকে আনুমানিক ২০০ গজ দূরে তার মরদেহটি পাওয়া যায়। এর আগে গত ১২ জানুয়ারি সাইদা খালেক নিখোঁজের ঘটনায় তার মেয়ে সাদিয়া কাশিমপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
ওসি আরও বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে আর্থিক লেনদেন বা পূর্ব শত্রুতার জেরে ওই অধ্যাপককে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সাউদ ইফতেখার জহির বাদী হয়ে আনোয়ারুল ইসলামকে আসামি করে কাশিমপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, গত বুধবার (১২ জানুয়ারি) থেকে অধ্যাপক সাইদা খালেককে পাওয়া যাচ্ছিল না। জিরানী বাজারে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের একটি আবাসন প্রকল্প আছে। ওই প্রকল্পের পাশে তিনি একটা বাসায় ভাড়া থাকতেন। প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত একজন কর্মচারীকেও গতকাল থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তাকে গাইবান্ধা থেকে আটকের পর তার জবানবন্দির ভিত্তিতে কাশিমপুর থানা পুলিশ আজ সাইদা খালেকের মরদেহ উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, কর্মচারীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কাশিমপুর থানা তার মরদেহ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের ব্যবস্থা করেছে। ওই কর্মচারী পুলিশ হেফাজতে আছে।
শিহাব খান/এইচআর/এসকেডি