ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বিবাহিত ছাত্রীদের হলে থাকার যে বিধিনিষেধ এবং প্রচলিত যে নিয়ম তা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। এ বিষয়ে আগামীকাল বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় বসছে প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির নিয়মিত সভা। সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছেন কমিটির সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গেলাম রব্বানী।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, বিবাহিত ছাত্রীদের হলে থাকার বিষয়ে বর্তমান নীতিমালা পর্যালোচনা এবং ছাত্রীদের দাবি বিবেচনায় নিয়ে আগামীকাল প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

সম্প্রতি শামসুন নাহার হল ও বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে বিবাহিত দুই ছাত্রীর সিট নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। এরপর থেকেই পাঁচটি ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন।

ইতিমধ্যে সংবাদ সম্মেলন ও উপাচার্যের নিকট স্মারকলিপি দিয়ে বিবাহিত ছাত্রীদের ক্ষেত্রে প্রচলিত নিয়ম বাতিলসহ চার দফা দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরা।

তাদের অন্য দাবিগুলো হলো শিক্ষার্থীদের প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের মর্যাদা রক্ষায় সব ছাত্রী হলে ‘লোকাল গার্ডিয়ান’ বা ‘স্থানীয় অভিভাবকের’ পরিবর্তে ‘ইমার্জেন্সি কন্টাক্ট’ বা ‘জরুরি যোগাযোগ’ শব্দটি রাখা, আবাসিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্বারা যেকোনো ধরনের হয়রানি এবং অসহযোগিতামূলক আচরণ বন্ধ করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া এবং শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকা সাপেক্ষে অনাবাসিক ছাত্রীদের হলে প্রবেশের অধিকার পুনর্বহাল করা ও জরুরি প্রয়োজনে তাদের হলে অবস্থান করতে দেওয়া।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের পাঁচটি হলে আসন বণ্টন–সম্পর্কিত নীতিমালায় বলা হয়েছে, ‘কোনো ছাত্রী বিবাহিত হলে অবিলম্বে কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। অন্যথায় নিয়মভঙ্গের কারণে তার সিট বাতিল হবে। শুধু বিশেষ ক্ষেত্রে বিবাহিত ছাত্রীকে চলতি সেশনে হলে থেকে অধ্যয়নের সুযোগ দেওয়া হবে। অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রী হলে থাকতে পারবেন না।’

এইচআর/এসকেডি