ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নৃত্যকলা বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী এলমা চৌধুরীর মৃত্যুকে পরিকল্পিত হত্যা দাবি করে বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলমার মা-বাবা।

রোববার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানান এলমার মা শিল্পী চৌধুরী ও বাবা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী। বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।

এলমার মা শিল্পী চৌধুরী বলেন, এলমার স্বপ্ন ছিল সে পড়াশোনা করবে বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে অনেক বড় হবে। কিন্তু আমার মেয়েকে সে (এলমার স্বামী) নানা রকম মিষ্টি মিষ্টি মিথ্যা কথা বলে তাকে বিয়ে করে। এই খুনের পেছনে তার (এলমার স্বামী) পরিবারের সবাই জড়িত। কিন্তু কেন তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না? আমি প্রশাসনকে অনুরোধ করছি তার পরিবারের সবাইকে গ্রেফতার করেন। তাহলে সব তথ্য পাবেন।

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার একটা আবেদন আছে। আপনি তো একজন মা, আপনি আমার মেয়ে হত্যার সঠিক তদন্ত করেন মা। তার পরিবারকে ধরলে সব বেরিয়ে আসবে, আপনি আমাদের সাহায্য করেন মা।

বাবা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে যেন এ বিচার করা হয়। সবারই মেয়ে আছে। এলমা হত্যার বিচার না হলে এ দেশের কোনো মেয়ে আর নিরাপদ থাকবে না। 

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য করে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আপনি সবার যেকোনো অভিযোগ-অনুযোগ শুনেন। দয়া করে আমার আবেদনটিও শুনবেন।

এর আগে, গত ১৫ ডিসেম্বর অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এলমা চৌধুরীর মৃত্যুকে অস্বাভাবিক ও হত্যা দাবি করে বিচার দাবি করেছেন তার সহপাঠী ও শিক্ষকরা।

গত ১৪ ডিসেম্বর বিকেল চারটার দিকে রাজধানীর বনানীতে স্বামীর বাসায় মারা যান এলমা। তার শরীরে আঘাতের অনেক চিহ্ন দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন সহপাঠীরা। পরিবার ও সহপাঠীরা এটিকে হত্যা দাবি করলেও এলমার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির মানুষের দাবি তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

এইচআর/ওএফ