ঢাবিতে আতশবাজি-ফানুসে বিজয় দিবসের প্রথম প্রহর উদযাপন
আজ ১৬ ডিসেম্বর। লাখো শহীদের রক্তে কেনা বাঙালির মহান বিজয় দিবস। দেশের বিভিন্ন স্থানে সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানাভাবে উদযাপন করছে বিজয়ের সেই ক্ষণ। বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে ফানুস উড়িয়ে ও আতশবাজিসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন শুরু করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।
রাত ১০টার পর থেকেই তরুণ-তরুণীদের পদচারণায় মুখর হয় ঢাবির ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এলাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ব্যান্ডের শিল্পীরা একে একে পরিবেশন করেন দেশের গান। এরই ফাঁকে ফাঁকে ওড়ানো হয় ফানুস।
বিজ্ঞাপন
টিএসসিভিত্তিক সব সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে চলে বিজয় উৎসব ‘রক্তে রাঙা বিজয় আমার- ২০২১ ’। রাত ১২টা ১ মিনিটে রাজু ভাস্কর্যের সামনে আতশবাজি ফোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগঠন স্লোগান-৭১। এ সময় বিভিন্ন সংগঠনকে আতশবাজি ফুটাতে দেখা যায়। অন্ধকার আকাশ মুহূর্তেই আলোকোজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
টিএসসিতে বিজয় উল্লাসের স্মৃতি কুড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছেন অনেকেই। উদযাপনে যোগ দিতে হাতিরঝিল থেকে টিএসসিতে আসেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাবিবা। স্বামীর সঙ্গে এসেছেন তিনি।
তিনি বলেন, এখানে আসার আনন্দ ও বিজয়ের আনন্দ একসঙ্গে মিশেছে। অনেক ভালো লাগছে। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও সবকিছু সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছে। সব মিলিয়ে দারুণ স্মৃতি।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে রয়েছে- বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টায় উপাচার্য ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৭টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে জমায়েত এবং সকাল ৭টা ৫ মিনিটে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের উদ্দেশে যাত্রা।
এছাড়া, বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদসহ বিভিন্ন হল মসজিদ ও উপাসনালয়ে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা এবং দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নতির জন্য দোয়া/প্রার্থনা করা হবে। এদিন ঢাবির শতবর্ষপূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উদযাপনের ধারাবাহিকতায় সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে লেজার শো প্রদর্শিত হবে।
এইচআর/ওএফ