পরাজয় নিশ্চিত জেনে জাতিকে মেধাশূন্য করার জন্য পাকিস্তানি হায়নার দল জাতির বিবেক বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা করে। এ জঘন্য হত্যাকাণ্ডের জন্য বাঙালি জাতি যুগ যুগ ধরে তাদরকে ঘৃণা করবে। 

মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলাচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার এসব কথা বলেন।

বুদ্ধিজীবীরা জাতির বিবেক উল্লেখ করে তিনি বলেন, বুদ্ধিজীবীরা তাঁদের মেধা, প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞতা দিয়ে সমাজ-রাষ্ট্রকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সহায়তা করেন। বুদ্ধিজীবী হত্যা পৃথিবীর ইতিহাসে একটি বর্বরোচিত ও ন্যাক্কারজনক ঘটনা। ভবিষ্যতে কোনো অপশক্তি যেন ‘জাতির বিবক’ বুদ্ধিজীবীদের ওপর নৃশংসতা চালাত না পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

এদিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালনে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে চবি প্রশাসন। এর মধ্যে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাইকে নিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি সৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ও উপ-উপাচার্য (একাডমিক) অধ্যাপক বেনু কুমার দে। পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে বুদ্ধিজীবী চত্বর থেকে শোক র‌্যালি শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধু চত্বরে এসে শেষ হয়। 

প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মূল বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদশ স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, অনুষদের ডিনবৃন্দ, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, কলেজ পরিদর্শক, হলের প্রভোস্টবৃন্দ, বিভাগীয় সভাপতি, ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, ছাত্র-ছাত্রী নির্দেশনা ও পরামর্শ কেন্দ্রের পরিচালক, অফিস প্রধানবৃন্দ, বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতৃবৃন্দ, অফিসার সমিতি, কর্মচারী সমিতি ও কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যবৃন্দ।

রুমান/আরআই