পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান

‘আমাদের শেষ ভরসা শেখ হাসিনা। আমাদের স্বাধীনতা, সংস্কৃতি, আমাদের আত্মপরিচয়ের যেটুকু টিকে আছে তা শুধু শেখ হাসিনার জন্য। তিনি সাহস করে হাল ধরে বসে আছেন। তার পিতার মতো তাকে সরিয়ে ফেলার জন্য কাজ করছে এক গোষ্ঠী। আমি যখন এই মুহূর্তে কথা বলছি ঠিক এই সময়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনার বিভিন্ন স্থানে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই দিনব্যপী ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যান্ড হিস লিগ্যাসি’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। রোববার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে উদ্বোধনীর মধ্যদিয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠান শুরু হয়।

আন্তর্জাতিক জন-ইতিহাস ইন্সটিটিউট, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগ, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এবং বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইন্সটিটিউটের উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে অনলাইনে যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন উপাচার্য ফারজানা ইসলাম। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, অনেক আগে থেকে বাংলাদেশকে শাসন করে এসেছে বিদেশিরা। ৪৭ এর দেশভাগের পরও পশ্চিম পাকিস্তানিরা অত্যাচার, নির্যাতন করে আমাদের শাসন করেছে। সেই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর বয়স তখন ৫৫ বছর, এই সময়ে আমরা স্বপ্ন দেখি কীভাবে আরও বড় কেরানি হওয়া যায়। সেই বয়সে তিনি একটি দেশ স্বাধীন করার স্বপ্ন দেখলেন। কোন সুসজ্জিত সেনাবাহিনী তখন ছিলো না। দেশের মজুর, কুলিদের নিয়ে তৈরী করলেন আমাদের সোনার বাংলাদেশ।

উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, একজন মুজিবের জন্ম হয়েছিল বলে একটা পতাকা, দেশ পেয়েছি। আমরা সবাই স্বাধীনতার ফসল। বঙ্গবন্ধুকে যত বেশি চেনা সম্ভব, বিশ্লেষণ সম্ভব, তত-ই বাঙালি ভেতর থেকে মানুষ হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য পবিত্র সরকার বলনে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে কিন্তু আদর্শকে হত্যা করা যায়নি। বঙ্গবন্ধু একটি আদর্শকে লালনের মধ্যদিয়ে একটি জাতির পরিচয় এনে দিয়েছেন। একটি দেশ, একটি আত্মপরিচয় এনে দিয়েছেন। এজন্য বাঙালি আজ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে নিজের পরিচয় দিতে পারে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতত্বি করেন আন্তর্জাতিক জন-ইতিহাস ইন্সটিটিউটের সভাপতি অধ্যাপক মেসবাহ কামাল। সভায় বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক এটিএম আতিকুর রহমান, বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইন্সটিটিউটের পরিচালক শামীম রেজা, ভারতের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রদীপ কুমার দাস প্রমুখ।

মো. আলকামা/এমএসআর