‌‘উড়লে আকাশে প্রজাপতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি’ এই স্লোগানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের আয়োজনে শুরু হয়েছে প্রজাপতি মেলা- ২০২১।

শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে বেলা ১১টায় মেলার উদ্বোধন করা হয়।  মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার।

প্রজাতির মেলা ২০২১ এর আহবায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন বলেন, প্রজাপতি সংরক্ষণে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। প্রজাপতি পরাগায়নের মাধ্যমে বনাঞ্চলকে টিকিয়ে রাখে। প্রজাপতি ছোট পতঙ্গ হলেও আমাদের বনাঞ্চল টিকিয়ে রাখে। আজকে এই প্রজাপতি মেলার মধ্য দিয়ে আমরা যেন প্রকৃতিতে ফিরে যায়। আমাদের উন্নয়ন যেন প্রকৃতিতে ধ্বংস করে না হয়। প্রকৃতিকে আমাদের রক্ষা করতে হবে এর কোনো বিকল্প নেই।

পূর্বে জাহাঙ্গীরনগরে ১২০ প্রজাতির প্রজাপতি পাওয়া গেলেও বর্তমানে ৬০ প্রজাতির পাওয়া যায়। সবুজ বনাঞ্চল টিকিয়ে না রাখলে ভবিষ্যতে প্রজাপতির সংখ্যা আরও কমবে বলে আশঙ্কা করেন অধ্যাপক মনোয়ার।

এ সময় প্রজাপতি সংরক্ষণে সার্বিক অবদানের জন্য সিরাজগঞ্জের আলহাজ ফরহাদ আলী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. হাসমত আলীকে বাটারফ্লাই অ্যাওয়ার্ড- ২০২১ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান সমীকে বাটারফ্লাই ইয়াং ইনথুজিয়াস্ট- ২০২১ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়

দিনব্যাপী জীবন্ত প্রজাপতি প্রদর্শন, প্রজাপতি বিষয়ক ছবি আঁকা ও কুইজ প্রতিযোগিতা, প্রজাপতি বিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা, প্রজাপতির হাট দর্শন, প্রজাপতির আদলে ঘুড়ি উড়ানো, বারোয়ারী বির্তক প্রতিযোগিতা, প্রজাপতি চেনা প্রতিযোগিতা এবং প্রজাপতি বিষয়ক ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করার মধ্য দিয়ে শেষ হবে দিনব্যাপী প্রজাপতি মেলা- ২০২১।

মেলার টাইটেল স্পন্সর করছে প্রসাধনী বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান কিউট। এ ছাড়া সহযোগী সংগঠন হিসেবে থাকছে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন ও আই ইউ সি এন (ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার)।

প্রসঙ্গত, ২০১০ থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যতিক্রমী প্রজাপতি মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তবে করোনার কারণে গত বছর বন্ধ থেকে এবার ১১তম আসর আয়োজিত হচ্ছে।

মো. আলকামা/আরআই