শতবর্ষপূর্তি উৎসবের অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব ইউনিভার্সিটিজ ইন বাংলাদেশ টু প্রমোট ইয়ুথ এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ’ শীর্ষক একটি পাইলট প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়েছে।

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইনোভেশন, ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ সেন্টার (আইসিই), বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (কোইকা) যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান প্রধান অতিথি এবং ঢাকায় দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত মি. লি জাং-কিউন সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, ঢাবির উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এবং ঢাবি বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল মঈন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে কোইকার কান্ট্রি ডিরেক্টর ডো-ইয়ংআ, প্রজেক্ট ম্যানেজার মি. ডেরিক কিম, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ, আইসিইর ভাইস-চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক এবং নির্বাহী পরিচালক মো.রাশেদুর রহমান বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে এম এ মান্নান বলেন, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে দীর্ঘকাল ধরে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ রয়েছে। বাংলাদেশের শিক্ষা ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে দক্ষিণ কোরিয়া সাহায্য-সহযোগিতা প্রদান করে আসছে। তিনি এই পাইলট প্রকল্পের সার্বিক সফলতা কামনা করেন।

রাষ্ট্রদূত লি জাং-কিউন বলেন, এই প্রকল্প হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কোরিয়া মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের এক অনন্য প্রতীক। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবনে দক্ষতা অর্জন করে দেশ-বিদেশে নেতৃত্বদানে সক্ষম হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, এই পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ইনোভেশন ও এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ বিষয়ে দক্ষ ও সক্ষম হয়ে গড়ে উঠবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কোরিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষা, গবেষণা, যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। উপাচার্য এই পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নে সাহায্য ও সহযোগিতা দেওয়ার জন্য কোরিয়ান সরকার বিশেষ করে কোইকা কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

এইচআর/জেডএস