প্লাস্টিক সামগ্রী উৎপাদন ও বিপণনে নিরুৎসাহিত করতে হবে
প্লাস্টিক বর্জ্য শুধু পরিবেশেরই ক্ষতি করে না, এ বর্জ্য মাটির উর্বরতা শক্তি কমিয়ে দেয়। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে প্লাস্টিক সামগ্রী উৎপাদন ও বিপণনে নিরুৎসাহিত করতে হবে। একইসঙ্গে এ বর্জ্য রিসাইক্লিং করে কীভাবে ব্যবহার উপযোগী করা যায় সে বিষয়ে গবেষণার জন্য শিক্ষক-গবেষকবৃন্দকে এগিয়ে আসতে হবে।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের উদ্যোগে ‘পলিথিন মুক্ত সপ্তাহ পাওয়ার প্রতিবন্ধকতা এবং প্রতিরোধের উপায়’ শীর্ষক এক সমাবেশে এসব কথা বলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন বলেন, প্লাস্টিক বর্জ্যের কারণে আমাদের ইকোসিস্টেমে চরম ক্ষতি হচ্ছে। আমাদের অসচেতনতার কারণে যেখানে-সেখানে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক একসময় নদী হয়ে সাগরে গিয়ে পড়ছে। যা সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্রকে খারাপভাবে প্রভাবিত করছে। যার কারণে আমারা সমুদ্রের মাছের পেটেও প্লাস্টিক পাচ্ছি। প্লাস্টিকের বর্জ্য ৫০০ থেকে ১০০০ বছর পর্যন্ত অক্ষত থাকে। অন্যদিকে প্লাস্টিকের অল্টারনেটিভ হিসেবে জুট ফাইবারের কথা ভাবা হচ্ছে যা সহজেই মাটির সঙ্গে মিশে যায়। এই দূষণ থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে প্লাস্টিক রিসাইক্লিং করে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করতে হবে। এ ছাড়া প্লাস্টিকের ব্যবহারে জনসচেতন জরুরি।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপ-উপচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক বেনু কুমার দে, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোশারেফ হোসেন ভূঁইয়া, পদার্থবিদ্যা বিভাগের ড. শ্যামল রন্জন চক্রবর্তী, বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন স্যার, ড. সুমন গাঙ্গুলি, সহযোগী অধ্যাপক ড. দিদারুল আলম চৌধুরী, ড. আয়েশা আফরিন, ড. কমল দে, সহকারী অধ্যাপক মো. আশরাফুল হকসহ, বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
হাফিজ/আরআই