গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকদের ওয়ার্কশপ
গুণগত ও মানসম্মত শিক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে রাজধানীর গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে ‘টিচিং পোর্টফোলিও’ শীর্ষক ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস ও সেন্টার অব এক্সিলেন্স ফর টিচিং অ্যান্ড লার্নিংয়ের সহযোগিতায় এই ওয়ার্কশপ হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারপার্সন ও সেকশন প্রধানরা অংশ নেন।
বিজ্ঞাপন
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির এতে মুখ্য ফ্যাসিলিটেটর হিসেবে সেশন পরিচালনা করেন। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফায়জুর রহমান, ডিসটিংগুইজড প্রফেসর ও টেক্সটাইল বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. নিতাই চন্দ্র সূত্রধর, বিজনেস অনুষদের ডিন ড. মো. গোলাম আহমেদ ফারুকী, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, শিক্ষকতা কেবল একটি চাকরি নয়, এটি মানুষ গড়ার কাজ। আবার শিক্ষকরা শুধু পাঠদান করলেই চলবে না, বরং এর চেয়েও বড় চ্যালেঞ্জ হলো শিক্ষার গুণগত মান বাড়ানো। স্বভাবই সব শিক্ষকের দায়িত্ব ও কর্তব্য স্মরণে রাখতে হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বলেন, একজন শিক্ষকের কাজ কী? তিনি কী পড়ান, কোন পদ্ধতিতে পড়ান; সবকিছুর জন্য পোর্টফোলিও জরুরি। উন্নত দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি বাধ্যতামূলক হলেও বাংলাদেশে এর প্রচলন নেই। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে ওই অর্থে যোগাযোগ তৈরি হয়ে উঠে না। উপাচার্য শিক্ষকদের পাশাপাশি কর্মকর্তা এমনকি শিক্ষার্থীদেরও ব্যক্তিগত পোর্টফোলিও তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ওয়ার্কশপ শেষে উপস্থিত সবার অংশগ্রহণে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক প্রথম স্থান এবং আইন বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. পারভেজ আহমেদ ও সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আহসানুল কবির তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান অধিকার করেন ইইই বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এএসএম শিহাবুদ্দিন ও গ্রিন বিজনেস স্কুলের চেয়ারম্যান মাহমুদ ওয়াহিদ।
আইএসএইচ