নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ত্রুটি, পদোন্নতি বাের্ড থেকে ডিনের পদত্যাগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগের জন্য গঠিত নির্বাচনী বোর্ড থেকে পদত্যাগ করেছেন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এস এম সালামত উল্লা ভুঁইয়া।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে অধ্যাপক সালামত উল্লা ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছি। সেখানে আমি কারণগুলো উল্লেখ করেছি।
বিজ্ঞাপন
পদত্যাগপত্রে বলা হয়, চলতি মাসের ২১ নভেম্বর স্মারক এ-৩৭৫/৭২৮০ অনুযায়ী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ঊর্ধ্বতন সহকারী/সমমানের পদ থেকে সেকশন অফিসার/সমমানের পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগের জন্য নির্বাচনী বোর্ডের সদস্য হিসেবে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে উক্ত নিয়োগ সংক্রান্ত প্রক্রিয়াগত ত্রুটির কারণে আইনি জটিলতা ও সামাজিক ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছি। এ অবস্থায় ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কারণে আমি উক্ত নির্বাচনী বোর্ড থেকে পদত্যাগ করছি।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, অফিস, বিভাগ, ইনস্টিটিউট হলে ঊর্ধ্বতন সহকারী, সমমান পদ থেকে সেকশন অফিসার, সমমান পদে আপগ্রেডেশনের মাধ্যমে নিয়োগের জন্য দুই সদস্যের কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ সিন্ডিকেট। এতে সদস্য হিসেবে রাখা হয় ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এস এম সালামত উল্লা ভুঁইয়া এবং সিন্ডিকেট সদস্য, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মহীবুল আজিজকে। কিন্তু সিন্ডিকেটের কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে পদোন্নতি বোর্ডে প্রশাসন বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রক্টরকে রাখা হয়।
এ ছাড়া আজ অনুষ্ঠিত বোর্ডে প্রায় ১০০ জনের পদোন্নতি পদপ্রার্থী থাকলেও সিলেকশন বোর্ডের সদস্যদেরকে ৫৮ জন ডকুমেন্ট দিয়েছে প্রশাসন। বাকি ৪২ জনের মতো পদপ্রার্থীর কোনো ডকুমেন্ট পাননি সিলেকশন বোর্ডের সদস্যরা।
পদত্যাগপত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান বলেন, পদত্যাগ পত্র পেয়েছি। বোর্ড থেকে সদস্য পদত্যাগ করলেও পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী বোর্ড চলবে।
পদোন্নতি বোর্ডে প্রক্টরকে প্রশাসন বিশেষজ্ঞ হিসেবে রাখার বিষয়ে রেজিস্ট্রার বলেন, ভাইস চ্যান্সেলর চাইলে যে কাউকে বোর্ডে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন। এটা সব সময় হয়ে আসছে।
রুমান/আরআই