ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্যান্টিনের খাবারের মান বাড়ানো ও ভর্তুকি দিয়ে দাম কমানোর দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট।

বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানান নেতাকর্মীরা।

সাধারণ সম্পাদক প্রগতি বর্মণ তমার সঞ্চালনায় এবং সভাপতি সালমান সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সাদিক, সাংগঠনিক সম্পাদক আরাফাত সাদ ও প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক মোজাম্মেল হক।

সভাপতি সালমান সিদ্দিকী তার বক্তব্যে বলেন, ক্যান্টিন মালিকরা বলছেন, বাজারে খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় হলের খাবারের দামও বাড়ানো হয়েছে। অথচ আমাদের এ বিশ্ববিদ্যালয়ের খাবারের দাম সবসময়ই বাজারের মূল্য থেকে অনেক কম ছিল। আগে দেখা যেত বাজার মূল্যের তারতম্যের সঙ্গে হলের খাবারের দাম উঠানামা করতো না এবং সেটা উচিতও নয়। কিন্তু বর্তমানে মালিকরা ভিন্ন কথা বলছেন। এটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র এই কারণেই যে হলের ক্যান্টিনগুলোর ব্যবস্থাপনা বেসরকারিভাবে হচ্ছে। প্রশাসন নিজে দায়িত্ব না নিয়ে বিভিন্ন মালিকের হাতে তুলে দিচ্ছে। এতে মালিকরা তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থে ইচ্ছেমত দাম নির্ধারণ করছে।

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিনা টাকায় খায় অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিনা টাকায় খেয়ে চলে যাচ্ছে, হলে তাদের চরম দখলদারিত্ব থাকায় মালিকরা তাদের কিছু বলতে পারছেন না। এই ধরনের ঘটনাও দাম বাড়ানোর সুযোগ করে দিচ্ছে।

বক্তারা বলেন, হলের ক্যান্টিনগুলোতে একদিকে খাবারের দাম বেড়েছে আরেকদিকে মান ও পরিমাণ উভই কমেছে। তিন টাকার পরোটা পাঁচ টাকা হয়েছে। মাছ-মুরগি ইত্যাদির দামও বেড়েছে। হলের মেসগুলোতে মিল রেট ৩০-৩৫ টাকা থেকে ৪৫-৫৫ টাকা বেড়েছে। দেখা যাচ্ছে প্রতি বেলায় খাবারে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি খরচ করতে হচ্ছে। আবার শিক্ষার্থীদের পরিবারের আয় এই করোনাকালীন সময়ে আরও কমেছে। এ অবস্থায় এই ব্যয় বহন করা আমাদের পক্ষে অসম্ভব।

ভর্তুকি বৃদ্ধি করার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে খাবারের দাম নিয়ন্ত্রণের প্রধান উপায় হলো ভর্তুকি বৃদ্ধি করা, কিন্তু প্রশাসন সেটা করছে না। শুধু খাবারই নয়, প্রশাসন ক্রমাগত বিভিন্ন ব্যয়ের ভার শিক্ষার্থীদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। ফলে বেতন-ফিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্রমাগত বেসরকারিকরণ চলছে। আপনারা জানেন ২০০৬ সালে গৃহীত বিশ্ববিদ্যালয় কৌশলপত্রেই উল্লেখ ছিল যে ধীরে ধীরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় বাড়াতে হবে এবং সেই নিজস্ব আয় বলতে বোঝানো হয়েছে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া বিভিন্ন বেতন ফি।

এইচআর/এসকেডি