মূল প্রশাসনিক ভবনের নকশা ঠিক রেখে আধুনিক সম্প্রসারিত ভবন নির্মাণসহ ঢাকা কলেজের সার্বিক অবকাঠামো উন্নয়নে মাস্টারপ্ল্যান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই. কে. সেলিম উল্লাহ খোন্দকার। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে কলেজের আবাসিক ছাত্রাবাস এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা জানান। 

অধ্যক্ষ বলেন, আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে তারপরও ঢাকা কলেজের অবকাঠামো উন্নয়নে আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করব। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমরা চেষ্টা করছি যেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে ছাত্রাবাসসহ চলমান সংস্কার কাজ শেষ করা যায়।

শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে ক্যাম্পাসে বহুতল ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা অনেক আগেই করা হয়েছে উল্লেখ করে অধ্যক্ষ বলেন, ২০০৯ সালে কলেজের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল। তখনই আমরা চেয়েছি আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ছাত্রাবাস, আন্তর্জাতিক ছাত্রাবাস, পশ্চিম ছাত্রাবাস ভেঙে একত্রে বড় করে একটি টাওয়ার নির্মাণ করার। স্থান সংকুলান না হওয়ায় আমাদের শিক্ষকরাও কোয়ার্টারে সুবিধা পান না। তাই অধ্যক্ষের বাসভবন ও শিক্ষক কোয়ার্টার ভেঙে বহুতল টাওয়ার নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি কলেজের মূল প্রশাসনিক ভবনের নকশা ঠিক রেখে বহুতল ভবন নির্মাণ করার।

জরাজীর্ণ জিমনেশিয়াম ও ক্যান্টিন সম্পর্কে তিনি বলেন, দ্রুতই কলেজের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জিমনেশিয়াম এবং ক্যান্টিন চালু করা হবে। একতলা ভবন দুটি ভেঙে যদি ১৫-২০ তলা করা যায় তবে আধুনিক জিমনেশিয়াম, উন্নত ক্যান্টিন, কলেজের স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠন গুলোর জন্য কক্ষের ব্যবস্থা হবে। আমরা চাচ্ছি এগুলো পরিকল্পনায় চলে আসে যেন দেরিতে হলেও ভবিষ্যতে বাস্তবায়িত হয়। এসব মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা ঢাকা কলেজে রয়েছে। 

কলেজের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ধীরগতি সম্পর্কে অধ্যক্ষ বলেন, কলেজের যে সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলমান রয়েছে সেগুলো তদারকিতে আমাদের সংশ্লিষ্ট শিক্ষক রয়েছেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা যায় তার চেষ্টা চলছে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মনোবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আবু সৈয়দ মো.আজিজুল ইসলাম, গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক অখিল চন্দ্র বিশ্বাস, উত্তর ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধারক ওবায়দুল করিম, আক্তারুজ্জামান ইলিয়াছ ছাত্রবাসের তত্ত্বাবধারক আলতাফ হোসেন, দক্ষিণায়ন ছাত্রবাসের তত্ত্বাবধারক নাসির উদ্দিন প্রমুখ। 

আরএইচটি/এসকেডি