জবিতে প্রফেশনাল কোর্স চালুর দাবি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বরের পর থেকে বন্ধ থাকা প্রফেশনাল কোর্স পুনরায় চালু দাবি জানিয়েছে শিক্ষকরা। এছাড়া প্রফেশনাল কোর্স বন্ধ থাকার পেছনে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মনে করছেন অনেক শিক্ষক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে যেই কোর্স শেষ করতে ১৭ হাজার টাকা লাগে, সেই একই কোর্স জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে করতে লাগে মাত্র সাড়ে ৭ হাজার টাকা। শিক্ষার মান ও খরচের দিক থেকে বিবেচনা করে তারা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেশনাল কোর্সে ভর্তি না হয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। যার ফলে শিক্ষার্থী হারাচ্ছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। সে কারণে তারা কৌশল অবলম্বন করে ঢাকার ভেতরে অবস্থিত দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেশনাল কোর্স বন্ধ রেখেছে বলে ধারণা শিক্ষকদের।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর কর্তৃপক্ষ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রোগ্রামে নতুনভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি না করার অনুরোধ করেন। এই নির্দেশনার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রফেশনাল কোর্স বন্ধ রয়েছে। ঢাকার ভেতরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেশনাল কোর্স বন্ধ রয়েছে। কিন্তু ঢাকার বাইরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিতই প্রফেশনাল কোর্সের ভর্তি কার্যক্রম ও পাঠদান চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেশনাল কোর্স চালু থাকলে বিভিন্ন জায়গায় কর্মজীবীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সাথে তারা অভিজ্ঞতা শেয়ার করার সুযোগ পাবেন। গত ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের পূর্বে নীল দলের দুই গ্রুপ নির্বাচনের ইশতেহারে প্রফেশনাল কোর্স চালুর দাবি রাখেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, প্রফেশনাল কোর্সে মাস্টার্সে চারটি সেমিস্টারে ২০টি কোর্স পড়ানো হয়। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেশনাল কোর্সের মানের চেয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখার মান অনেক ভালো। প্রফেশনাল কোর্সে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হয় না।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, প্রফেশনাল কোর্স চালুর বিষয়টি নিয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। কোন কোন বিভাগ চালু করতে পারবে, বিস্তারিত একটা নীতিমালা থাকবে। কোনোভাবেই নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সমস্যা যাতে না হয়, এটা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখব।
এমটি/ওএফ