গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা পরবর্তী আবেদনের জন্য নির্ধারিত ফি বাতিলের দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।

শুক্রবার সংগঠনের সভাপতি মাসুদ রানা ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ারের সই করা এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যবিপ্রবি ভর্তির জন্য আবেদন আহ্বান করেছে। এতে এক ইউনিটে আবেদন করতেই ৬৫০ টাকা লাগবে। বিজ্ঞানের চারটি ইউনিট আছে। কেউ যদি চারটিতেই আবেদন করতে চায় তাহলে প্রয়োজন দুই হাজার ৬০০ টাকা। 

পরীক্ষা দেওয়ার সময় এক হাজার ২০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছিল। এখন আবার এই ফি কেন? আর এভাবে যদি বাকি ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ও আবেদন ফি-এর তালিকা দেয়, তাহলে পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে। এই ফি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট অবিলম্বে এই ফি প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শিক্ষার্থীরা তো ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। তারপরও ভর্তি ফি নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাণিজ্যিক মানসিকতারই বহিঃপ্রকাশ। গুচ্ছ পরীক্ষা পদ্ধতি চালুর সময় বলা হয়েছিল, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি-দৌড়ঝাঁপ, আর্থিক চাপ কমাবে এ পরীক্ষা পদ্ধতি। 

কিন্তু এমন ফি আদায়ের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী ও তার পরিবারকে আরও বেশি চাপের মধ্যে ফেলা হলো।  করোনার এ সংকটে এবং দ্রব্যমূল্যের লাগামহীনতায় পরিবারগুলো যখন দিশেহারা, তখন এরূপ সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মানবিক নয়। এতে অনেকে চান্স পেয়েও টাকার অভাবে আবেদন করতে না পেরে হতাশাগ্রস্ত হবে।

এমনিতেই শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিযোগিতার কারণে সামাজিক-মানসিক চাপে থাকে। এর ওপর এ অযৌক্তিক ফি-এর বোঝা তাদের মানসিক চাপ আরও বাড়িয়ে তুলবে। এ সময়ে শিক্ষার্থীদের পাশে না দাঁড়িয়ে উল্টো অযৌক্তিক ফি আরোপ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এই ফি প্রত্যাহার করা দরকার।

আগামী ৭ নভেম্বর বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশের কথাও বলা হয় বিবৃতিতে।

এইচআর/আরএইচ