দীর্ঘ ১৯ মাস বন্ধ থাকার পর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ২ নভেম্বর (মঙ্গলবার) থেকে শুরু হয়েছে সশরীরে পাঠদান কার্যক্রম। তবে বিশ্ববিদ্যালয় খুললেও খুলছে না বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ক্যাফেটেরিয়াটি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। 

সরেজমিনে দেখা যায়, ক্যাম্পাসের ক্যাফেটেরিয়াটি বর্তমানে ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার কাজে নিয়োগ দেওয়া অস্থায়ী আনসার সদস্যদের বাসস্থান হিসেবে। তাছাড়া ক্যাফেটেরিয়ার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পড়ে আছে অযত্নে।

ক্যাফেটেরিয়াটি বন্ধ থাকায় বাইরের হোটেল ও দোকানগুলো থেকে খাবার কিনে খেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এ নিয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পরীক্ষা চলাকালীন ক্যাফেটেরিয়াটি বন্ধ থাকায় বেশি খরচে বাইরের দোকান থেকে খাবার খেতে হচ্ছে তাদের। সেখান থেকে অতিরিক্ত দামে খাবার কিনতে হয়। পরীক্ষা চলাকালীন অল্প সময়ের জন্য ক্যাম্পাসে থাকতে হলেও, এখন নিয়মিত ক্লাস চললে অনেককেই সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার ক্যাম্পাসেই সম্পন্ন করতে হবে। ক্যাফেটেরিয়া খুলা থাকলে তাদের ব্যয়ও কম হতো বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

ক্যাফেটেরিয়া বন্ধের বিষয়ে  জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ড. হাবিবুর রহমান বলেন, ‌আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের অসুবিধা বুঝতে পারছি। আমরা যত দ্রুত সম্ভব ক্যাফেটেরিয়া খুলার ব্যাবস্থা করব। ছাত্র-ছাত্রীরা যেন স্বাস্থ্য সম্মত খাবার পায় সেই দিকেও খেয়াল রাখব।

প্রসঙ্গত, গত বছরের মার্চে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হবার পরপরই বন্ধ হয়ে যায় একমাত্র ক্যাফেটেরিয়াটিও। মাঝে কয়েক দফায় সশরীরে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ২ নভেম্বর থেকে সশরীরে ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত নিলেও খোলা হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া।

জাভেদ রায়হান/আরআই