পাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় চারজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- পাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল্লাহ (২৩), উপপ্রচার সম্পাদক সালমান খান (২১), সহ-সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম রানা (২৬) ও সহ-সম্পাদক আব্দুল গাফ্ফার (২২)।
বিজ্ঞাপন
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ছাত্রদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে হলে উঠানো নিয়ে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল্লাহর অনুসারী ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল আলমের অনুসারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রুমের আসবাবপত্র তছনছ করা হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে হামলার শিকার নেতাকর্মীরা বিকেলে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। মিছিলটি পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে এসে শেষ হয়।
আহত পাবিপ্রবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল্লাহ অভিযোগ করেন, হলের অবৈধ ছাত্র উচ্ছেদ ও মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে কথা বলায় সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম বাবুর অনুসারীরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ ঘটনার বিচার চেয়ে প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল আলম বাবু বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। তাদের ওপর হামলার কোনো ঘটনাই ঘটেনি। সামান্য তর্কাতর্কি হয়েছে।
পাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদ চৌধুরী আসিফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্য কথা কাটাকাটি হয়েছে। উভয়পক্ষকে নিয়ে বিষয়টি সমাধনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য খবর দিলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এম. রোস্তম আলী ঢাকা পোস্টকে জানান, এমন একটি ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পেরেছি। তবে জেলার বাহিরে থাকায় বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি। হলে সিট বরাদ্দ নিয়ে তাদের মধ্যে একটি ঝামেলা তৈরি হয়েছে। প্রক্টর বরাবর এক পক্ষ লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাকিব হাসনাত/আরএআর