খাবার নিয়ে প্রশ্ন তুলে ঢাবি ছাত্রলীগ নেতার থাপ্পড় খেলেন কর্মী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এ এফ রহমান হল মেসের খাবারের মান নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার জেরে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে একই সংগঠনের পদপ্রত্যাশী নেতা মুনিম শাহরিয়ার মুনের বিরুদ্ধে।
সোমবার দুপুরে হল মেসের পাশে দোকানে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার ওই শিক্ষার্থী বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার নাম গোলাম রাব্বি। তিনি ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারী।
বিজ্ঞাপন
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হল মেসের খাবার নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় ম্যানেজার সুজাত ও রাকিবসহ অন্যরা রাব্বির ওপর ক্ষিপ্ত হন। দুপুরে খাবার খেতে গেলে ম্যানেজার সুজাত ও রাকিবের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় রাব্বির।
রাব্বিকে হল মেসের খাবার খেতে নিষেধ করেন তারা। বিষয়টির প্রতিবাদ করলে তারা রাব্বিকে অকথ্য ভাষায় গালি দেন। এ সময় উপস্থিতরা ম্যানেজার সুজাতের গালিগালাজের প্রতিবাদ করেন। পরে রাব্বি সেখান থেকে বেরিয়ে হল মেসের পাশের দোকানে চলে যান। তখন, হঠাৎ ঢাবি ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী হলের পদপ্রত্যাশী নেতা মুনসহ আরও আট দশজন এসে তাকে মারধর করে। এ সময় তারা তাকে হল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে গোলাম রাব্বি বলেন, খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলায় তাদের সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটি শেষে আমি দোকানে বসে ছিলাম। হঠাৎ মুন তার কয়েকজন অনুসারীকে নিয়ে এসে আমাকে বলেন, ‘তোমাকে হলে রাখবো না, তুমি কীভাবে হলে থাকো তা আমি দেখে নেব’। পরে আমি সেখান থেকে চলে আসতে চাইলে আমাকে জোর করে বসিয়ে মারধর (থাপ্পড়) করেন। অবশ্য পরে তিনি (মুন) আমাকে তার রুমে ডেকে নিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগের দায় স্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা মুনিম শাহরিয়ার মুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাব্বি বন্ধুদের নিয়ে হল মেস ম্যানেজারের সঙ্গে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছে। আমিও মেসের দায়িত্বে ছিলাম। তাই মীমাংসা করতে আমি রাব্বির কাছে যাই। সেখানে সে আমার সঙ্গে শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ করেছে। যার ফলে আমি মেজাজ হারিয়ে তাকে থাপ্পড় দিয়েছি। তবে তার সঙ্গে দেখা করে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি।
বিষয়টি জানতে যোগাযোগ করা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি কিছু জানি না।
হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. কেএম সাইফুল ইসলাম খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ বিষয়ে আমি একটি অভিযোগপত্র পেয়েছি। দুজন হাউজ টিউটরকে এদের নিয়ে বসতে এবং দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছি। আশা করছি আজই এটির সুরাহা হয়ে যাবে।
এইচআর/আরএইচ