আমরণ অনশনে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা, অসুস্থ ৭
তিন বিষয়ে প্রমোশনের দাবিতে আমরণ অনশন অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন সাত কলেজের ‘ভুক্তভোগী’ শিক্ষার্থীরা। ‘আশ্বাস নয় সমাধান চাই’ এবং ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে এ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
রোববার (২৪ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় পুরান ঢাকার কবি নজরুল সরকারি কলেজের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। দিন গড়িয়ে রাত এলেও তাদের এ অবস্থান কর্মসূচি চলমান রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, ২০১৭ সালে রাজধানীর সরকারি সাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে (ঢাকা কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। বিগত বছরগুলোতে নানান সমস্যার সম্মুখীন হয় সাত কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা। এখন পর্যন্ত সাত কলেজের সমস্যাগুলোর কোনো সুষ্ঠু ব্যবস্থা করা হয়নি।
এর আগেও দফায় দফায় আন্দোলন এবং মানববন্ধন করেও কোনো কার্যকরী ফলাফল না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা এবার আমরণ অনশনে নেমেছেন। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপসহ কার্যকর পদক্ষেপ চেয়েছেন সাত কলেজের ভুক্তভোগী সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচির বিষয়ে বলেন, আমরা তিন বিষয়ে প্রমোশন (উন্নীত) চাই। সেশনজট এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ফলাফল বিপর্যয়ের কারণে অনেক সময় নষ্ট হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিমুখী আচরণ এবং গাফিলতির ফলে হাজারো শিক্ষার্থীর জীবন বিপন্ন হচ্ছে। বারংবার স্মারকলিপি এবং মানববন্ধন করেও আমাদের সমস্যার সমাধান হয়নি। এ জন্য দাবি আদায়ের লক্ষ্য আজ আমার আমরণ কর্মসূচি পালন করছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা ‘অনিয়ম এবং বৈষম্যের’ বিরুদ্ধেও বক্তব্য দেন তারা।
তীব্র সেশনজট নিরসন, অনাকাঙ্ক্ষিত ফলাফল বিপর্যয়, ফলাফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতা দূরীকরণসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যেই এই কর্মসূচি পালন করছেন অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এ প্রসঙ্গে সাত কলেজের প্রধান সমন্বয়ক কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আই কে সেলিম উল্লাহ খন্দকার বেশ কয়েকবার ফোনকল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সাত আন্দোলনকারী অসুস্থ
বেলা ১১টায় শুরু হওয়া এ আন্দোলন রাত ৯টা পর্যন্তও চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যেই সাত আন্দোলনরত শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে দুজনকে স্যালাইন দেয়া হয়েছে।
অসুস্থ হয়ে পড়াদের মধ্যে চার জন ছাত্র ও তিন জন ছাত্রী।
শিক্ষার্থীদের দাবি তাদেরকে যদি লিখিত মুচলেকা দিয়ে একটি সমাধান দেওয়া হয় তারা আন্দোলন থেকে সরে আসবে।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে কলেজের ভেতরে শিক্ষকরা অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন। শিক্ষকরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন আশ্বাস দিলেও তারা আশ্বস্ত হচ্ছেন না।
তানজিদ/এফআর