গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে ২ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু
বুদ্ধিবৃত্তিক পরিবর্তন ও রূপান্তরের লক্ষ্যে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে ‘ইনোভেশন অ্যান্ড ট্র্যান্সফরমেশন ফর ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে। শনিবার (২৩ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস, ল’ এবং আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সস অনুষদ আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলন শুরু হয়।
সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, জার্মানি, ভারত ও বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষক-গবেষকরা অংশ নিয়েছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির।
বিজ্ঞাপন
এ সময় বক্তব্য রাখেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, সম্মেলনের জেনারেল চেয়ার ও বিজনেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. গোলাম আহমেদ ফারুকী, যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের প্রফেসর বব হপকিন্স, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. সাইফুল ইসলামসহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, আগামীর বাংলাদেশ প্রযুক্তি ও চ্যালেঞ্জের। বর্তমান সরকার যেহেতু ডিজিটাল বাংলাদেশে জোর দিয়েছে, তাই এই সম্মেলনের বুদ্ধিবৃত্তিক উদ্ভাবন ও ইতিবাচক পরিবর্তনে কর্মক্ষমতা বাড়ালে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সহজ হবে।
সম্মেলনে গবেষণাপত্র উপস্থাপন ছাড়াও ধারণা তৈরি এবং ইনোভেশন-ট্রান্সফরমেশনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের উপায় সংক্রান্ত নানা দিক নিয়ে আলোচনা হবে।
সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বলেন, আইটিডি সম্মেলনের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য হলো বৈচিত্র্যতা। এখানে যেমন বিজনেস রয়েছে, তেমনি রয়েছে ল’ ও সোশ্যাল সায়েন্সেস। করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছর অনলাইনের মাধ্যমে এই সম্মেলন হলেও আগামীতে সশরীরে হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
উপাচার্য বলেন, করোনাকালীন বিশ্বের যেসব খাত সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে, তার অন্যতম হলো শিক্ষা। যদিও লকডাউনের শুরু থেকেই অনলাইন শিক্ষার সব সেবা নিশ্চিত করে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি। এই ধারা অব্যাহত রেখে শিগগির গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয়কে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গবেষণায় ইতোমধ্যেই বড় ধরনের অবদান রেখেছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি। করোনার সময়ে দেশি-বিদেশি জার্নালে উল্লেখযোগ্য গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশের পাশাপাশি ‘বেস্ট রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড’ ও ‘রিসার্চ এক্সিবিশন অ্যাওয়ার্ড’ চালু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম উদ্যোগ।
তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গত দুই বছর ধরে ‘সাসটেইনেবল টেকনোলোজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি ৪.০’ সম্মেলন করে আসছে সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ। বিজনেস, ল’ ও সোশ্যাল সায়েন্সের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে আরও ভিন্নমাত্রা যোগ করবে।
স্বাগত বক্তব্যে আইটিডি সম্মেলনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন সম্মেলনের জেনারেল চেয়ার ও বিজনেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. গোলাম আহমেদ ফারুকী। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সেই যাত্রায় গ্রিন ইউনিভার্সিটিও নানাভাবে অবদান রাখছে।
অধ্যাপক ফারুকী বলেন, টেকসই উন্নয়নের চাবিকাঠি হলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি। এই দুই অনুষঙ্গকে যত বেশি কাজে লাগানো যাবে, আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ততই সহজ হবে। এ সময় তিনি ২০২২ সালে আইটিডির দ্বিতীয় সম্মেলনের তারিখ (২২-২৩ অক্টোবর) ঘোষণা করেন।
সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের প্রফেসর বব হপকিন্স, জাপানের আকিতা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর প্যাট্রিক ডোউঘের্টি, জার্মানির কোলন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর স্টিফেন হোবে, বিশ্ব-ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. বিপ্লব লোহো চৌধুরী, দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. গোলাম রহমান, বুয়েটের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. ফকরুল আলম, আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব ইরাকের উলফগ্যাং হিন্সক, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চের চেয়ারম্যান ড. খুরশেদ আলম এবং রবি আজিয়াটা লিমিটেডের সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদের মূল প্রবন্ধ পাঠ করবেন।
এমএইচএস