কুমিল্লা, চাঁদপুর, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংগঠিত শারদীয় দুর্গোৎসবের মণ্ডপে হামলা এবং প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় মৌন প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মুখে কালো কাপড় বেঁধে অবস্থান করেন বিভিন্ন বর্ষের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী।

এ সময় তাদের হাতে ‘আমি হিন্দু আমাকে গুলি করো রাষ্ট্র’, ‘জীবনানন্দ-রবীন্দ্রনাথের বাংলায় সাম্প্রদায়িকতা কেন?’ ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘হিন্দু হয়ে জন্মানো কি আমার আজন্ম পাপ’, ‘দেশ ছাড়তে হুমকি কেন, রাষ্ট্র জবাব দাও’, ‘ধর্ম পালনের অধিকার আমার নেই?’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব সিরাজী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে। আমরা যুগ যুগ ধরে একসঙ্গে বসবাস করে আসছি। দুঃখজনকভাবে এবার দেশের কিছু কিছু জায়গায় শারদীয় দুর্গোৎসবে প্রতিমা ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটেছে। তারই প্রতিবাদে আজ আমরা মৌন প্রতিবাদের আয়োজন করেছি।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কখনোই সাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাসী নয়। আমরা প্রত্যাশা করি যারা এসব কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন, অচিরেই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।

নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল মাওয়া আঁখি বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাসী। গতকাল কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দেওয়া হয়েছে তারই প্রতিবাদে আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিচার দাবি করছি। একইসঙ্গে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে এমন ঘটনা আর ঘটবে না বলে প্রত্যাশা করি।

এইচআর/এমএইচএস