চুল কাটার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে কাঁদলেন শিক্ষার্থীরা
সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে চুল কাটার ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে কেঁদেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। তদন্ত কমিটির প্রধান ও রবীন্দ্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান লায়লা ফেরদৌস হিমেল বিষয়টি জানিয়েছেন।
এর আগে রোববার (০৩ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সেমিনার কক্ষে সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়ে শেষ হয় রাত সাড়ে ৮টায়। এ সময় ১৩ জন শিক্ষার্থী সরাসরি ও এক ছাত্র অসুস্থ থাকায় হাসপাতালে থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সাক্ষ্য দেন।
বিজ্ঞাপন
এ ছাড়া তদন্তের স্বার্থে বিভাগের প্রত্যক্ষদর্শী আরও ১৫ শিক্ষার্থী, তিনজন শিক্ষক, পাঁচজন কর্মচারীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এ সময় অন্য বিভাগের আরও পাঁচজন শিক্ষার্থীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। একই দিনে শিক্ষার্থীদের অনুরোধের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানান সময়ে ওঠা নানান অভিযোগের ব্যাপারে সেসব ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সাক্ষ্য দেন বিভিন্ন বিভাগের আরও আটজন শিক্ষার্থী। সব মিলে প্রায় অর্ধশত ব্যক্তি সাক্ষ্য দেন।
এদিকে দুপুর ১২টায় অভিযুক্ত শিক্ষক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে তদন্ত কমিটির কাছে তার বক্তব্য পেশ করার সময় দেওয়া হলেও তিনি মানসিক ও শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে উপস্থিত হননি। তিনি একটি মেইল করে আরও কয়েক দিন সময় দরকার বলে জানিয়েছেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান ও রবীন্দ্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান লায়লা ফেরদৌস হিমেল বলেন, নানান বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে এই ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। তবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে অনেকেই কেঁদে ফেলেন।
কবে নাগাদ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক উপস্থিত না হয়ে সময়ের জন্য আবেদন করেছেন। সেক্ষেত্রে আমাদের বসে তাকে কতটুকু সময় দেওয়া যায় সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তারপর সব কিছু মিলে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রেজারার আব্দুল লতিফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ ঘটনার সত্য উম্মোচনে রবীন্দ্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও সিনেট সদস্য লায়লা ফেরদৌস হিমেলকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে সিনেট সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেই সুপারিশ করা হবে এই সিনেট সভা থেকে। সেই সুপারিশ অনুযায়ীই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুভ কুমার ঘোষ/এসপি