শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন শিথিল
শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনির আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে চলমান আন্দোলন শিথিল করেছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শনিবার (০২ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে তারা প্রশাসন ভবনের তালা খুলে দেয়।
এর আগে সকাল ৮টার দিকে শিক্ষার্থীরা মুঠোফোনে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী তাদের আন্দোলন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে তার ওপর আস্থা রাখতে বলেন। দুপুর ১২টায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শিথিলের সিদ্ধান্ত নেয়।
বিজ্ঞাপন
১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের স্থায়ী বহিষ্কার চেয়ে অবরোধ ও আন্দোলন করে আসছিল শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনের মুখপাত্র অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী একেএম নাজমুল হাসান ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে ও তদন্ত কমিটির ওপর আস্থা রেখে আপাতত সব ধরনের অবরোধ ও আন্দোলন শিথিল করছি। তবে অফিস চলাকালীন আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ক্যাম্পাসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করব। তবে যদি আমাদের দাবি না মানা হয় সেক্ষেত্রে আমরা আবার আন্দোলনে যাব।
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য সব পরীক্ষা স্থগিত রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া আন্দোলন স্থগিত করার আগ পর্যন্ত প্রশাসন ভবনের ভেতরে উপাচার্যসহ কয়েকজন কর্মকর্তাকে তিনদিন অবরুদ্ধ করে রেখেছিল বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। তারা প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিল।
তবে এ বিষয়ে রবীন্দ্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান লায়লা ফেরদৌস হিমেল ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রেজারার আব্দুল লতিফের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় সেই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কার চেয়ে অনশন, অবরোধ ও আন্দোলন করে আসছিল শিক্ষার্থীরা। এ সময় পাঁচজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাও নিয়েছে।
শুভ কুমার ঘোষ/এসপি