দীর্ঘ সাড়ে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের হল কমিটি নেই। সর্বশেষ হল কমিটি হয়েছিল ২০১৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর। ওই দিন এক বছরের জন্য ঢাবি ছাত্রলীগের ১৮টি হল শাখার কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে।

দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর নেতাদের পেছনে ঘুরে, প্রটোকল দিয়েও কমিটি না পেয়ে হতাশ প্রার্থীরা। কেউবা রাজনীতি ছেড়ে পুরোদমে পড়াশোনায় ঢুকে পড়ছেন, কেউ চাকরিতে প্রবেশ করছেন, আবার কেউ বিয়ে করে সংসারি। এবার কাঙ্ক্ষিত হল কমিটি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ঢাবি ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান তারা। আগামী ৫ অক্টোবর হল খোলার পর দ্রুত সময়ের মধ্যে কমিটি দেওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

এ সময় সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে আমরা কমিটি দিতে পারিনি। আমরা চাই, ৫ অক্টোবর হল খোলার যত দ্রুত সম্ভব দীর্ঘদিন যারা পরিশ্রম করেছে, তাদের হাতে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবো। পরবর্তী সম্মেলন প্রধানমন্ত্রী ঠিক করবেন, এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। 

তিনি বলেন, হল খোলার পর কমিটি দিতে আমরা সর্বোচ্চ আন্তরিক থাকব। আপনারাও (সাংবাদিকরা) আন্তরিক হবেন। যে অসঙ্গতিগুলো আছে, সেগুলো আপনারা তুলে ধরবেন। এ ক্ষেত্রে আমরা আপনাদেরকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব।

সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন। ক্যাম্পাস খোলার সঙ্গে সঙ্গে স্বল্প সময়ের মধ্যেই হলে কমিটি দিয়ে দেবো। যারা শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয়, সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী, দীর্ঘদিন ধরে সংগঠন করছেন তাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। আমাদের সব প্রস্তুতি আছে, শুধু খোলার অপেক্ষায় আছি। প্রত্যাশা করছি, স্বল্প সময়ের মধ্যেই কমিটি দিতে পারব।

এইচআর/ওএফ