১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ
বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়ার প্রশ্নই আসে না : ফারহানা ইয়াসমিন
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে চাকরি থেকে বরখাস্তের দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় ওই শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দিচ্ছেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়েছে। তবে খবরটি গুজব বলে ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন।
তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমি কোনো অপরাধ করিনি। তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় কেন ছেড়ে দেব? আমি এমন কোনো ঘোষণা দিইনি।’
বিজ্ঞাপন
ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন বলেন, ‘আসলে এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি, আমি কারও চুল কেটে দিইনি। আমি একের পর এক ১৪ জন শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেব, আর তারা তা নীরবে সহ্য করবে?’
এগুলো আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা ষড়যন্ত্র কি না আমি এগুলো নিয়ে কিছু বলতে চাই না। তবে আপনারা যাচাই-বাছাই করেন তাহলেই বুঝতে পারবেন।’
ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় আমি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান, সহকারী প্রক্টর ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য- এই তিনটি পদ থেকেই পদত্যাগ করেছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।’
একটি বেসরকারি টেলিভিশনের আলোচনায় আপনি যাদের চুল কেটে দিয়েছেন তাদের চেনেন না এবং তারা আপনার শিক্ষার্থী কি না সেটাও জানেন না- এমন মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে আপনার বক্তব্য কী? এর উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি, সব শিক্ষার্থীকে তো আর আমি চিনি না। সবাই তো আর নিয়মিত ক্লাসও করে না। আর যেখানে আমার দ্বারা কারও চুল কেটে দেওয়ার মতো ঘটনাই ঘটেনি, সেখানে আমি কাদের চুল কেটে দিয়েছি এমন প্রশ্নই আসে না।‘
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রেজারার আব্দুল লতিফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘যদি সেই শিক্ষক চুল নাই কেটে দেবেন তাহলে শিক্ষার্থীরা এমনটা করার কথা নয়। তাই আমার বিশ্বাস সেই শিক্ষক এটা করেছেন। তবে সেই শিক্ষক চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। শিক্ষার্থীরা এখনো আন্দোলন করে যাচ্ছে, কিন্তু তারা বুঝতে পারছে না, ইচ্ছা করলেই সব কিছু হয় না। এছাড়া আমি তাদের বুঝিয়ে বলেছি, সেই শিক্ষককে তার দায়িত্বরত তিনটি পদ থেকেই সরানো হয়েছে। আগামী ৭-৮ বছর তিনি এই দায়িত্বে আর আসতে পারবেন না। এছাড়া তার চাকরির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গেলে তদন্ত সাপেক্ষে অনেক কিছু প্রমাণিত হওয়ার ব্যাপার আছে। তাছাড়া আমি যেহেতু উপাচার্য হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি সেক্ষেত্রে আমি চাইলেও তার বিরুদ্ধে এমন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারব না।’
শুভ কুমার ঘোষ/আরএআর/জেএস