চাকরিপ্রত্যাশীদের দখলে ঢাবির বিজ্ঞান গ্রন্থাগার
এক ডোজ টিকা নেওয়ার প্রমাণপত্র, বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ পরিচয়পত্র দেখানো এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে অনার্স চতুর্থ বর্ষ এবং মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য দীর্ঘ ১৮ মাস পর গতকাল (২৬ সেপ্টেম্বর) খুলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গ্রন্থাগারসমূহ।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও বিজ্ঞান গ্রন্থাগারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে স্বাস্থ্যবিধি ও নিয়মকানুন মেনে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। এ গ্রন্থাগারে উপস্থিতি খুবই কম লক্ষ্য করা গেছে। অনার্স চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের বাইরে আর কেউ প্রবেশ না করায় এবং শিক্ষার্থীরা বাড়িতে অবস্থান করায় উপস্থিত কম বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের ঠাসাঠাসি করে বসতে দেখা যায় বিজ্ঞান গ্রন্থাগারে, নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই। গ্রন্থাগারে জায়গা না থাকায় বাইরেও চেয়ার-টেবিল বসিয়ে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। জায়গা না পাওয়ায় নিয়মিত কয়েকজন শিক্ষার্থীকেও বাইরে পড়তে দেখা যায়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, নিয়মিত শিক্ষার্থী অল্প কয়েকজন, ৭০ ভাগ আসন দখলে রেখেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। বাধা দেওয়ার মতো অবস্থা নেই, গ্রন্থাগারে প্রবেশ করছেন যে কেউ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজ্ঞান গ্রন্থাগারে দায়িত্বরত উপ-গ্রন্থাগারিক দিলীপ চন্দ্র বিশ্বাস ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিয়মিত শিক্ষার্থীর বাইরে অনেকে আজও প্রবেশ করেছে। তবে আমরা অনুরোধ জানিয়েছি বৃহত্তর স্বার্থে কাল থেকে যেন তারা না আসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকও এসে অনুরোধ জানিয়েছেন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, শুধুমাত্র বৈধ শিক্ষার্থীদের জায়গা করে দিতে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক ড. মো. নাসিরউদ্দিন মুন্সী ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিক্ষার্থীদের পড়ার আগ্রহ প্রবল। এটা আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। আপাতত সবাই পড়ুক তবে স্বাস্থ্যবিধি যেন আমরা সবাই মানি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, যেসব শিক্ষার্থীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রমের সম্পৃক্ততা নেই, তাদের জায়গা তো বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার নয়। শিক্ষার্থীদের ভালোর জন্যই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে, শিক্ষার্থীদেরই গ্রন্থাগার ছাড়তে হবে।
এইচআর/এসকেডি